সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া::
উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্পের পাশে অনিয়ন্ত্রিত ৬০ হাজার রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়ে এনজিও সংস্থা আইএমও। ইতিমধ্যে ৬০ অবৈধ রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা,স্বাস্থ্য,বাড়ীঘর,রাস্তাঘাট নির্মানসহ ব্যাপক উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড হাতে নিয়েছে এ সংস্থাটি। তাছাড়া এসব রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক ভাতাও চালু করেছে এনজিওটি।কিন্তু এসব টাকা প্রকৃত গরীব রোহিঙ্গাদের হাতে যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শেড মাঝিরা তাদের মনের মতো করে টাকা বিলানোর ফলে এসব টাকা চলে যাচ্ছে মাঝিদের আত্বীয় স্বজনের পকেটে।
সুত্র জানায়, বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করা ৬০ হাজার রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছে এনজিও সংস্থা আইএমও। অল্প সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এনজিওটি আসার পর থেকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এনজিও সংস্থাটির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ তৈরী। রোহিঙ্গাদের আইএমওর প্রতি আকৃষ্ট করতে এর বাংলাদেশ প্রধান আসিফ মুনির বিভিন্নভাবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ রোহিঙ্গাদের স্থায়ী করার জন্য পাযতারা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে অবৈধ রোহিঙ্গাদের নিয়ে একের পর এক মিশনে নেমেছেন তিনি। এক্ষেত্রে বাড়ি, রাস্তাঘাট নির্মান সহ অবৈধ রোহিঙ্গাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ৪ মাস ধরে রোহিঙ্গাদের জন্য চালু করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা। প্রতিমাসে ২৫০ জন গরীব রোহিঙ্গাদের মাঝে এ ভাতা দিচ্ছে এনজিও সংস্থাটি। এক্ষেত্রে তালিকা নেওয়া হচ্ছে শেড মাঝিদের কাছ থেকে। শেড মাঝিরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার টাকা । ভাতার ১০ হাজার টাকার মধ্যে ৫ হাজার টাকা মাঝিদের দেওয়ার শর্তে তালিকায় নাম অন্তভ’ক্ত করা হচ্ছে। এভাবে চুক্তি করে মাঝিরা বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে সাধারন রোহিঙ্গাদের অভিযোগ। তালিকায় অন্তভ’ক্ত করা হচ্ছে মাঝিদের আত্বীয় স্বজনকে। এক পরিবারে ৮ ব্যাক্তি ৮০ হাজার টাকা পাওয়ারও নজির রয়েছে। তাই আইএমও দেওয়া টাকা যাচ্ছেনা রোহিঙ্গাদের হাতে। কারসাজির মাধ্যমে মাঝিরা হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান টাকা। এতে ফুসে উঠছে সাধারন রোহিঙ্গারা। যে কোন মুহুর্তে এ ব্যাপারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। একাধিক রোহিঙ্গার মতে, টাকা লুটপাটের বিষয়টি হয়তো আইএমওর কর্তাব্যাক্তিরা জানেননা। বিশেষ মাঝিদের তৈরী করা সিন্ডিকেটের হাতেই জিম্মি হয়ে রয়েছে রোহিঙ্গারা। মাঝিদের নেতৃত্বে রয়েছেন কথিত চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, মোহাম্মদ নুর।সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যর মধ্যে রয়েছেন এ-১ ব্লকের আবদুস শুক্কুর, আবদুল হাফেজ, এ-২ ব্লকের মান্নান, বি-ব্লকের মোহাম্মদ নুর, বি-১ ব্লকের আমিন, বি-২ ব্লকের মোহাম্মদ আলম, বি-৩ ব্লকের আবু তৈয়ুব, নুর হোসেন, জকরিয়া, আমির হামজা। ডি-ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন রফিক, ডি-১ ব্লকের আবু জাফর, আবদুল্লাহ, ডি-২ ব্লকের মনিরুজ্জামান, আবদুল মাজেদ, ডি-৩ ব্লকের মোহাম্মদ হোসেন ওরফে কালা বদা, সৈয়দুল আমিন, মজিদ, ডি-৪ ব্লকের রুহুল আমিন, মোহাম্মদ সালাম, শমশু, আবদুস সালাম, ডি-ব্লকের মোহাম্মদ আলী, নুরুল আমিন ও কালু। সি-১ ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন মৌলভী রফিক, মোহাম্মদ আলম, সি-২ ব্লকের মোস্তফা কামাল, উলা মিয়া, ই-১ ব্লকের আবুল কালাম, হাবিব, নুর আলম, ই-২ ব্লকের আলী হোসেন, সলিম, মৌলভী জামাল, মোহাম্মদ বাসের, ফরিদ অন্যতম। কুতপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মাহমুদুল হক বলেন,আমি রেডিষ্টার্ড রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বলতে পারব। রোহিঙ্গা বস্তিতে কি হচ্ছে তা আমি জানিনা।
পাঠকের মতামত