আলমগীর মাহমুদ
স্নেহেধন্য ছাত্র।.. ' সুঘ্রাণের চাউলে আপনারে নিয়া খাবো, সে আশা পূর্ণ হলো না মোর ! অজুহাতে ফেরাতে ব্যর্থ। ,মেহমানের সাঁজে একদিন।
খাবার টেবিলে। ওয়াসরুমে ছাত্র। খাবার প্রাক প্রস্তুতি। ।হঠাৎ..বউয়ের প্রশ্ন "স্যার ভাল মানুষ চিনবো কিভাবে?
বুঝলাম কম সময়ে উত্তর চায়।এককথায় বলি" ঁযাদের সাথে মানুষের দীর্ঘদিনের ভালবাসা টিকে থাকে তাঁদের ভাল মানুষ মনে করিস"।
সমাজজীবনে দীর্ঘ সময়ের এমন গুণ ধারন করা মানুষ নুরুল হাশেম।হাশেম নামেই ছিল চেনাজানা। তার অনাকাঙ্ক্ষিত মরণ পারছে না কেউ মানতে!
আমিন। কলেজ ক্যাম্পাসে বাবার বংশপরম্পরা দোকানী। স্যার,' হাসেম ভাইয়েরে নিয়া আপনি কিছুই লিখলেন না! ঘুমাইতেতো পারছি না।আমাদের হাসিরঁ খোরাকেরতো সর্বনাশ হয়ে গেল।
..দু'কলম লিখেন স্যার, আমি একটু শান্তি পাইতাম! আমি এক্টু শান্তিতে ঘুমাইতাম!!
আমিও নির্ঘুমতা কাটানোর বর্ণনায় বলি গেলরাতে কাসেদনূরের আই,ডি তে নাক, চোখ থেকে রক্তের ঝরে পড়ার ফনা দেখে নিজেই ষ্ট্রোকের আশংকায় রাত একটায় একটা ঘুমের বাড়িতে শপে দিয়েছিলাম নিজেরে।
বউয়ের এন, জি,ও চাকরীতে বাঁধাই তাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে আলোচনায় "টক অব দ্যা টাউন।বউ আকলিমা তার সহপাঠী ছিল।কোর্ট ম্যারেজের খবরটা মৃত্যুর পরেই জানি।২০১২ সালের এইচ,এস,সি ব্যাচ তারা।
পালং এর আভিজাত্যমাখা পরিবারে তার জন্ম।বউয়েরে ইনকাম করতে পাঠিয়ে জামাই তার অপেক্ষায় থাকবে সেটা মেনে নিতে পারা তাঁদের স্বভাবে নয়,রক্তে নেই।বংশধারায় নেই।
কোর্টবাজার মসজিদ গলিতে একটা, বালুখালীতে একটা ফাম্মেসী আছে হাসেমের।
হাশেম একজনে একশত মানুষকে আনন্দে রাখত মাঁতিয়ে।ছিল না চাওয়া, পাওয়াও। পারিস্থিতিতে গা ভাসিয়ে দেয়াটা সে পারত না মানতে।
কেমন আছো হাশেম? জানতে চাইতেই... ৩২ দাঁতের আবহমাখা নিস্তেজ হাঁসিতেই কইত "স্যার, বাঁশিতো আগের মতো বাজে না।'
লেখক:-
বিভাগীয় প্রধান। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ উখিয়া কলেজ, কক্সবাজার।
alamgir83cox@ fmail.com