বাংলাদেশের ভেতরে মিয়ানমারের গোলা এসে পড়ার বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মিয়ানমার।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে মারা যান এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা। ঘটনার পরপরই মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে ব্যাখ্যা চায় বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই তৎক্ষণাৎ আমরা বিজিপির কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি হেডকোয়ার্টার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের কাছে আমাদের উদ্বেগ তারা তুলে ধরছে।’
এদিকে দেশটিতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ১১৩ সীমান্তরক্ষী। তাঁদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে ঢোকার লক্ষ্যে সীমান্তের মিয়ানমার অংশের গ্রামগুলোতে অনেকেই জড়ো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে রোহিঙ্গার পাশাপাশি রয়েছে চাকমা জাতিগোষ্ঠীর ৪ শতাধিক মানুষও। তবে কাউকেই অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছে বিজিবি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেনি। আমাদের বর্ডার এখনো সিলড আছে। আমরা কোনোভাবেই রোহিঙ্গা বা অন্য কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সাবধানে থাকার পরামর্শও দিয়েছে বিজিবি