শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থানরত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য বিশ্ববাসীর চোখ এখন কক্সবাজারের দিকে। এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রতিদিন দেশ-বিদেশে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। নানা দেশ তাদের নিজস্ব অবস্থান ও দৃষ্টিকোণ থেকে নানা হিসেব-নিকাশে ব্যস্ত। কিন্তু বাংলাদেশের একটি মাত্র লক্ষ্য হচ্ছে এসব রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন। এজন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের আন্তরিক ও উদার সহযোগিতা কাম্য। ২৪ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো প্রতিদিন একশো শিশু জন্ম নিচ্ছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ঢলের পর প্রতি বছর জন্ম নিচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার শিশু।
তিনি তার রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, রোহিঙ্গা সংক্রান্ত যে কোনো প্রতিবেদন তৈরির সময় আমাদের ‘ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’ এর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন >> কুতুপালংয়ে সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের অত্যাচার – নির্যাতনে অতিষ্ঠ, ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা
কক্সবাজার জেলা শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান ‘সীমান্ত সাংবাদিকতা’ বিষয়ে দেশ টিভির সাবেক সম্পাদক সুকান্ত গুপ্ত অলক, ‘উন্নয়ন সাংবাদিকতা’ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান প্রতিবেদক পিনাকী রায় ও ‘মোবাইল সাংবাদিকতা’ বিষয়ে রয়টার্স টিভির বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্যাম জাহান।
কর্মশালার উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের। সঞ্চালনা করেন কর্মশালার সহযোগী সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের গণসংযোগ ব্যবস্থাপক জিলফুল মুরাদ শানু।
সমাপনী অনুষ্ঠান, অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব)। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রেন্ডশিপের আইন শাখার জ্যেষ্ঠ পরিচালক মোহাম্মদ শামীম রেজা ও যোগাযোগ শাখার প্রধান তানজিনা শারমিন। সঞ্চালনা করেন তৌফিকুল ইসলাম লিপু। কর্মশালায় জ্যেষ্ঠ ও নবীন ৩৫ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
পাঠকের মতামত