রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে নিজেদের অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আগামী বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী নেওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত ইউনাইটেড স্টেটস রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রামের (ইইউআরএপি) আওতায় ২০২৪ সালে আরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী নেবে ওয়াশিংটন। শরণার্থীবিষয়ক বৈশ্বিক রিফিউজি ফোরামে এই ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, রোহিঙ্গা পুনর্বাসন সম্প্রসারণে তৃতীয় দেশগুলোকেও উৎসাহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যান্য দেশকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য নিজেদের অভিজ্ঞতা ব্যবহারের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গা শরণার্থীরাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভের দিকেও গুরুত্ব আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের মানুষের সাক্ষরতা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক দক্ষতার প্রশংসাপত্র প্রদান করে এমন কর্মসূচি সম্প্রসারিত করার প্রচেষ্টায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে বেসরকারি খাতের অংশীজনদের যুক্ত করা। যারা এসব কর্মসূচিতে আর্থিক বা কারিগরি সহায়তা দেবে।
অবশ্য শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, বিশ্বের যেসব দেশে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে, সেই সব দেশ থেকেও তাদের নেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া যেসব দেশে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে, সেসব দেশকে আরও সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও দেশগুলোর সরকারের কার্যকরী সম্পর্ক গড়ে তুলতে কাজ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের চাহিদার প্রতি মার্কিন প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২৬টি অনন্য ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এসব ঘোষণা দিল যখন বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
পাঠকের মতামত