বাংলাদেশ থেকে মাংস, চাল, ফল, সবজি ইত্যাদি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে গিয়েছিলেন এক দম্পতি। দেশটিতে এসব পণ্যের অননুমোদিত পরিবহন নিষিদ্ধ। বিষয়টি ওই দম্পতি অস্বীকার করলেও ধরে ফেলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের একটি কুকুর। বিগল প্রজাতির কুকুরটি ওই দম্পতির কাছে থাকা ২০ কেজি পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের পণ্য শনাক্ত করেছে, যা সাধারণ যাত্রীদের পরিবহন করা নিষিদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম কেওয়াইডব্লিউ রেডিও।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন কর্তৃপক্ষের কুকুরটির নাম হ্যারি। সে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ওই দম্পতির ব্যাগেজে ২০ কেজি গরুর মাংস, চাল, ফল, সবজি, শাক এবং বীজজাতীয় দ্রব্য শনাক্ত করে।
যদিও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে ওই দম্পতি তাদের সঙ্গে কৃষিপণ্য থাকার কথা অস্বীকার করেন। উদ্ধারের পর ওইসব খাদ্যসামগ্রী ধ্বংস করা হয়।
সংক্রমণ রোধে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশ থেকে অননুমোদিত কৃষিপণ্য আনা নিষেধ।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কুকুরের হাতে ১ লাখ ২০ হাজার ধরনের নিষিদ্ধ সামগ্রী ধরা পড়ে। এ বছরের প্রথমার্ধে যার সংখ্যা ৯৬ হাজার।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, যেসব দেশে খাপড়া নামের গুবরে পোকার সংক্রমণ দেখা যায়, সেসব দেশ থেকে যাত্রীরা ব্যাগে করে সেদেশে চাল নিতে পারেন না। কারণ এই পোকা বীজ ও শস্যের জন্য মারাত্মক ধ্বংসাত্মক।
মার্কিন সরকারি দপ্তর বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এই পোকার সংক্রমণ দেখা দিলে তা তাদের ফসল উৎপাদন সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।
পাশাপাশি, যেসব দেশে হরহামেশাই গবাদিপশুর সংক্রমণ দেখা যায় সেসব দেশ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রে গরুর মাংস পরিবহন নিষিদ্ধ। এর আগে সংক্রামক ব্যাধি ম্যাড কাউ রোগে দেশটির প্রাণিসম্পদ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে।