মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘিরে উত্তেজনা প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সীমান্তের বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে। আমরা বিজিবির সঙ্গে কাজ করছি। আইনানুগভাবে বিজিবি আমাদের কাছে সব সহযোগিতা পাবে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের ডাঙ্গারচর নৌ-তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামে সম্প্রতি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আইজিপি বলেন, আমাদের কেউ অপরাধের করলেও তাকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না। এমনকি চুরি হওয়া স্বর্ণের ৭০ ভাগ আমরা উদ্ধার করেছি। পুলিশের শক্তি, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। তবুও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্দর আছে। সেজন্য বন্দর থানার পাশাপাশি বন্দর ডিভিশন আছে। শুধু বন্দরের নিরাপত্তা করবে তা না, বন্দর এলাকার নিরাপত্তার জন্য সিএমপির সাথে এই ইউনিটের (নৌ পুলিশ) সমন্বয় থাকা দরকার। আমি মনে করি, নদীর নিরাপত্তার জন্য এই নৌ-তদন্ত কেন্দ্র ও নৌ পুলিশ ফলপ্রসূভাবে কাজ করবে।
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে আইজিপি বলেন, এমন ঘটনা সংঘটিত হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে লাশের সুরতহাল করা হয়ে থাকে। ডাক্তারের মতামত, পোস্ট মর্টেম ও তদন্তের ভিত্তিতে যে তথ্য উঠে আসে সেটি নিয়ে সবসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। সামনেও এ ধরনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০০২ সালের ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের মূল অপারেশনাল এরিয়া শাহ আমানত ব্রিজ থেকে বহির্নোঙর পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরে দুটি করে মোট চারটি নৌ-তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এগুলো হলো ডাঙ্গার চর, চাক্তাই, রাঙ্গাদিয়া ও গুপ্তখাল নৌ-তদন্ত কেন্দ্র। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ডাঙ্গার চর ও চাক্তাই নৌ তদন্ত কেন্দ্রের জন্য ভূমি বরাদ্দ করে। রাঙ্গাদিয়া ও গুপ্তখাল নৌ-তদন্ত কেন্দ্রের ভূমি বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রথমে রাজস্ব বাজেটের আওতায় ডাঙ্গার চর নৌ-তদন্ত কেন্দ্রে ৬ তলা ভীত বিশিষ্ট ২ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এটির জন্য দুজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), দুজন এএসআই (নিরস্ত্র), দুজন এএসআই (সশস্ত্র), ৩০ জন কনস্টেবল, একজন বাবুর্চি ও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ মোট ৩৮ জন জনবল মঞ্জুর করা হয়েছে।