মিয়ানমার শুধু বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ নয়, তাদের সাথে আমাদের দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ জড়িত। দুদেশের মধ্যে সম্প্রীতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র তৈরি এবং বিদ্যমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হলে যৌথ উদ্যোগের বিকল্প নেই।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মিয়ানমার বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিএমবিপিসি) উদ্যোগে বাংলাদেশ পরিদর্শনে আসা মিয়ানমানের একটি প্রতিনিধি দলের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক।
মিয়ানমারের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির স্থায়ী বাণিজ্য সচিব টো অং মিয়ান্ট। দুই দেশে একই ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে অসামাঞ্জস্য এবং নেতিবাচক কোনো ধরনের বোঝা নেই।
এ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় এ বছরের জুনে চিংড়ি শিল্পে হ্যাচারি প্রযুক্তি ব্যবহার ও উন্নয়নের ওপর মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ শ্রিম্প ও ফিস ফাউন্ডেশনের একটি সমঝোতা স্মারকের কথা তিনি উল্লেখ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি, সেবা এবং ব্যাংকিং খাতে যৌথভাবে কাজ করার বহু ক্ষেত্র রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার এবং বান্দারবানে কৃষিভিত্তিক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
বিএমবিপিসি চেয়ারম্যানের এসব কথা শুনে টো অং মিয়ান্ট মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য খোরশেদ আলম চৌধুরী, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিও মিয়ান্ট থান, সিঙ্গাপুর কনস্যুল ড্যারি লাউ, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অব-বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি সালাউদ্দিন কাশেন খান এবং কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মুর্শেদ চৌধুরী।
পাঠকের মতামত