প্রকাশিত: ৩১/০৮/২০১৬ ৮:০৯ এএম

semantoউখিয়া নিউজ ডটকম::
ঘুমধুম সীমান্ত হয়ে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত সীমান্ত সড়ক নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সড়কটি নির্মাণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৬০ মিটার প্রস্থের সড়কটি নির্মাণের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সীমান্ত সড়কটি বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে শুরু হয়ে কক্সবাজার জেলার উখিয়ার বালুখালী ও টেকনাফের নাফ নদীর কূল ঘেঁষে শাহপরীরদ্বীপ গিয়ে শেষ হবে। আর এ বছরের শুরুতে সেই সড়কটি নির্মাণের একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যার ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছিল ২৭৯ কোটি টাকা। কিন্তু মন্ত্রণালয় কিছু সুপারিশ যোগ করে প্রকল্পটি ফেরত পাঠায়। পরবর্তীতে সুপারিশগুলো গ্রহন করে নতুনভাবে প্রকল্পটি সাজানো হয়। এতে ব্যয় বেড়ে যায় ১৫ কোটি টাকা। ২৯৪ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের অধীনে সড়কটি নির্মাণের জন্য ৩.৮ মিটার উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এর পর ৬০ মিটার প্রস্থের ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং করা হবে। সড়কটির একপাশে থাকা নদীর ১.০৩ কিলোমিটার শাসন কিংবা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সড়ক নির্মাণের জন্য নদীর ৬৭ ও ৬৭/বি’তে দুটি পোল্ডার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া নদীতে থাকা ৪৬টি পুরাতন স্লুইচ গেইট সংস্কার সহ নতুন করে ৮ টি স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা হবে। এবিষয়ে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোফাজ্জেল হোসেন ঊলেন, সীমান্ত সড়কটি মন্ত্রণালয় থেকে ফেরত পাঠানো হয় মূলত নদী খনন বাড়ানোর জন্য। কিন্তু আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী দু দেশের চুক্তি ছাড়া সীমান্তের নদী খনন সম্ভব নয়। তাই প্রকল্পটি অল্প কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী মো. শবিবুর রহমান ঊলেন, বাকখালী নদী খননের একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। প্রকল্পটি একনেকের সভায় উথাপনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলেই সীমান্ত সড়ক প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। কক্সবাজার- রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ঊলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য সীমান্ত সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক নির্মাণ হলে ইয়াবার আগ্রাসন কমে আসবে। ওই সড়ক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াকি বহাল রয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে চলতি বছরের একনেকের সভায় ওই সড়কটি নির্মাণ প্রকল্পটি গৃহীত হবে। উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘২০১০ সালে সংসদ অধিবেশনে সীমান্তে একটি সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। সড়কটি নির্মাণ হলে ইয়াবা পাচার, মানব পাচার ও চোরাচালান ৮০ শতাংশ বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া সীমান্তের সুরক্ষা বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ। বিজিবির টহলদান ও নিরাপত্তা প্রদান সহজ হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রকল্পটি চলতি বছরে একনেকের সভায় অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...