একটি রাষ্ট্র, জাতি ও সমাজের খবর রাখতে গিয়ে যে মানুষগুলো সদাই যে আড়ালে থাকেন, তাদের খবর কি আমরা নিচ্ছি? এই খবর সংগ্রহ ও উপস্থাপনার কাজে পিছিয়ে আছি আমরা। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এমনটি হচ্ছে। বলা যেতে পারে, দেশের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার ইতিহাস, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করতে হলে সাংবাদিককে বাদ দিয়ে কখনো পূর্ণাঙ্গ হবে না। এজন্য খবরের মানুষটির খবর জানাও অত্যন্ত জরুরী এবং যৌক্তিক।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক আজাদ মনসুর ইন্টারনেটে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি উল্লেখ করেছেন।
সাংবাদিকদের পেশাগত তথ্যভিত্তিক একটি কোষগ্রন্থের অভাব দীর্ঘদিনের। তারপরও ‘সাংবাদিক অভিযান’, ও ‘কক্সবাজার সাংবাদিক কোষ’ গ্রন্থ দু’টিতে কিছু সাংবাদিক স্থান পেয়েছে, (হয়তু আরো থাকতে পারে)। তবে সে স্থান পাওয়াটা সামগ্রিকভাবে নয়। এতে করে সাংবাদিকদের পেশাগত তথ্যভিত্তিক একটি কোষগ্রন্থের অভাব থেকে গেছে। সে দায়বোধ থেকে দেশের ৬৪ জেলার প্রথম সারির জীবিত ও মৃত সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যক্তিগতভাবে জীবনীনির্ভর অভিধান প্রকাশের বিষয়টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, বহু গ্রন্থের প্রণেতা আজাদ মনসুর।
তিনি জানান, প্রত্যেক জেলার বিষয়ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, সংবাদপত্র, সাংবাদিকতা, সাংবাদিক, মুদ্রণশিল্পসহ নানা বিষয়ে গবেষণাকেন্দ্রিক তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কোষ’ গ্রন্থকে দেশের সামগ্রিক সাংবাদিকতার ইতিহাসের একটি দলিল হিসেবে তুলে ধরা হবে। যা ইতোমধ্যে এসব তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষও হয়েছে। এখন শুরু সাংবাদিকদের তথ্য নেওয়া বাকি।
সমস্যাগ্রস্থ একটি সমাজ থেকে তথ্য আহরণ করা সকল অর্থেই একটি দুঃসাধ্য ব্যাপার উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া আরো দুঃসাধ্য কাজ। লোকে তু বলে, সাংবাদিকদের কোনো ঠাঁই-ঠিকানা নেই। কথাটা ঠিক নয়, তবুও লোকে এই কারণে বলে যে, তাদের ঠাঁই আজ এখানে তো, কাল ওখানে। আমি বলি, সাংবাদিকদের স্থান হবে ক্রমান্বয়ে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কোষ’-এর প্রতিটি পাতায়। হাজার বছর ধরে পৃথিবীব্যাপী এ পাতাগুলো কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে। বিশাল এ তথ্যকোষে প্রতিটি জেলার অন্তত ২০-২৫ জন প্রথম সারির (জীবিত-মৃত) সাংবাদিকদের জীবনী প্রকাশ করা হবে।
প্রথম খÐ প্রকাশেই পূর্ণ সাফল্য এমনটি সচরাচর ঘটেনা। এসব কাজ যেহেতু চলমান সেহেতু পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাহায্যে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে খÐাকারে প্রতিটি জেলার প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকদের তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান আজাদ মনসুর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সাংবাদিকদের জীবনালেখ্য নিয়ে চরিত কোষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়োজিত অথবা অবসরে থাকা স্বাধীনতা পূর্ববতী এবং পরবর্তী (শূণ্যদশক ছাড়া) জীবিত-মৃত সাংবাদিকদের পুরো তথ্য, একটি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ (এমএস ওয়ার্ড ডকুমেন্টে SutonyMJ ফ্রন্ট-এ) লিখে [email protected], [email protected] মেইলে পাঠনোর জন্য অনুরোধ করা হয়। মৃত সাংবাদিকদের তথ্য পরিবারের যে কেউ পাঠাতে পারবেন।
এছাড়াও দেশের বাইরে যে সকল সাংবাদিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমে কর্মরত শুধুমাত্র স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবতী (শূন্যদশক ব্যতিত) এ কোষের আওতাভূক্ত থাকবেন।
পাশাপাশি ‘কক্সবাজার সাংবাদিক কোষ’ দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য কক্সবাজারের যেসকল সন্তান দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়োজিত এসব সাংবাদিকদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকতায় যাদের বয়স অন্তত দু’দশক দ্বিতীয় সংস্করণে শুধুমাত্র তাদের জীবনী লিপিবদ্ধ করা হবে