পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে পাহাড়ি দুই গ্রুপ সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আটজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের হামতাংপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত দুই দিন ধরে রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন খামতাং পাড়া ও আশেপাশে এলাকায় গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ ও কেএনএফের মধ্যে গোলাগুলি চলছিল। আজ সকালে স্থানীয়রা জানায় খামতাং পাড়ায় কয়েকটি লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে রোয়াংছড়ি পুলিশ বেলা ১টায় ঘটনাস্থল থেকে আটটি গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, মরদেহগুলো কোন গ্রুপের তা নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি পরিচালিত ফেসবুক আইডি Vatekuki থেকে তাদের সাতজন সদস্য নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে।
মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান রোয়াংছড়ি থানার ওসি।
এদিকে ঘটনার পর খামতাং পাড়ার লোকজন রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সদরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। পাড়াবাসীরা ফোনে এমনটি জানিয়েছেন বলে ঢাকা মেইলকে জানান পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানসহ পার্বত্য জেলাগুলোতে সন্ত্রাসীদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ ও উপগ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন সময় সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।