জানা যায়, নরসিংদী ইমপিরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী মুনিরা আক্তারকে (চুশনি) সোমবার রাতের কোনো এক সময় তার নিজঘরে কে বা কারা হত্যা করে ঘরের ফ্যানে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। পরে বাড়ির পাশে রাতের অন্ধকারে নিহতের বাবা খোরশেদ আলম ও ভাই সোহেল লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে মাটিতে পুঁতে রাখে। কথা গুলো জানিয়েছেন নিহত স্কুল ছাত্রীর বড়বোন নাদিয়া।
নিহতের স্বজনরা আরো জানান, মনিরা আক্তার চুশনির সঙ্গে বাড়ির পাশে বিল্লাল মিয়ার টেক্সটাইল মিলের ম্যানেজার নোবেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই অভিযোগে মনিরাকে নিজঘরে হত্যা করে তাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে বাবা খোরশেদ আলম ও ভাই সোহেল। এরই অংশ হিসেবে লাশটি গুম করার লক্ষ্যে বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে গর্ত করে রাতের অন্ধকারে লাশটি মাটিচাপা দেয়া হয়।
মনিরা আক্তার নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হলে রবিবার বিকেলে লাশ গুমের বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে এলাকার ইউপি সদস্য শিবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই আমিনুল হকের নেতৃত্বে মাটির নিচ থেকে নিহত কলেজ ছাত্রী মনিরার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এস আই আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা লাশটি উদ্ধার করেছি। এখন ময়না তদন্ত হবে। আর ময়না তদন্তেই বেরিয়ে আসবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল না সে আত্মহত্যা করেছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি এবং লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাঠকের মতামত