মেয়ের ওপর নাকি কুনজর ছিল বাবার। এমনকী, মেয়ের ওপর অনেকবার জোর জবরদস্তিও করতে গিয়েছিলেন তিনি।শেষপর্যন্ত আর থাকতে না পেরে, মাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যেতে বাধ্য হলো নির্যাতিতা কিশোরী। পরে, তাদের অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরের।
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান সুনিতা দেবী (নাম পরিবর্তিত)। তার অভিযোগ, তাদের বড় মেয়ের ওপর স্বামীর খারাপ নজর ছিল। সুনিতা দেবীর কথা অনুযায়ী, ২০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর কয়েক বছর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু, তারপর থেকে হঠাৎই শুরু হয় মারধর ও অত্যাচার।
অত্যাচার সহ্য করে না পেরে সুনিতা দেবী বাবার বাড়ি চলে যান এবং সেখানেই বেশ কিছু বছর কাটান। পরে অবশ্য তিনি স্বামীর কাছে ফিরে আসেন।
সুনিতা দেবীর অভিযোগ, মেয়ের ওপর তার স্বামী প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন। বাধা দিতে গেলে, তাকেও মারধর করা হতো। সুনীতা দেবীর অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে মেয়ের ওপর জোর জবরদস্তি করেন তার স্বামী।
নির্যাতিতা কিশোরী পুলিশের কাছে অনুরোধ জানায়, আমাকে বাবার হাত থেকে বাঁচান, উনি আমাকে রেপ করতে চান। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।