মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দুপুরে পিবিআই চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পরিদর্শক মো. ওমর ফারুক চার্জশিট দাখিল করেন। বাবুল আক্তার মামলার ১ নম্বর আসামি।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পিবিআই’র প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলো- কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা, এত্তেশামুল হক প্রকাশ ভোলো, মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাজাহান মিয়া।
পিবিআই প্রধান বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মামলাটি তদন্ত করা হয়েছে। আমরা তদন্তে যেসব তথ্য পেয়েছি এবং যাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছি তাদের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেছি।
মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানান পিবিআই প্রধান।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মিতু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আমাদের কাছে জমা দিয়েছে পিবিআই। অভিযোগপত্রে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারসহ সাত জনকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু খুন হন। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে এ মামলা তদন্ত করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত পায় পিবিআই। তদন্তে উঠে আসে বাবুল আক্তারই তার বিশ্বস্ত সোর্সদের দিয়ে স্ত্রীকে খুন করান। পরে বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
পাঠকের মতামত