আজাদ হোসেন সুমন: মিতু হত্যার নেপথ্যে নায়ক কে? বাবুল আক্তারের পদত্যাগ ও পরবর্তী সময়ে অস্বীকার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। যে পশ্নের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। পর্যবেক্ষক মহলের মধ্যে অনেকেই বলছেন, তাহলে কি এসব প্রশ্নের জবাব কোনোদিন পাওয়া যাবে না। নিহত মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তার মামলার বাদী। তাকেই কেন ২৫ জুন ১৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হল? কি কারণে বাবুল ওই রাতেই পদত্যাগ পত্র দিলেন?
দ্বিতীয়ত বাবুল আক্তারের সোর্স মুছা এখন কোথায়? মুছার স্ত্রী বলছে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। অথচ পুলিশ বলছে মুছা পলাতক রয়েছে। তাকে ধরা যায়নি। হত্যার পরিকল্পনাকারী মুছা অথচ পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে এমন কোনো তথ্য নেই। তাহলে কি মুছাকে আর কোনোদিন পাওয়া যাবে না। বাবুল আক্তার যদি হত্যায় জড়িত থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় না এনে শুধু পুলিশ থেকে বের করে দিয়ে কি সুষ্ঠু কোনো সমাধান হল। আর যদি সে স্ত্রী হত্যায় জড়িত না হয়ে থাকে তাহলে এই অসময়ে তার চাকরী যাওয়াটা অমানবিক নয়কি?
বাবুল স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র দাখিল করে কেনইবা অস্বীকার করলেন এবং চাকুরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করলেন। ইত্যকার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যেসব প্রশ্নের কোনো জবাব নেই। পুলিশ আইনের রক্ষক। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিয়মানুবর্তিতার ধারক-বাহক। এইযে অসংগতি। এ ব্যাপারে জনমনে জন্ম নেয়া সংশয় ও সন্দেহ দুর করার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীরই ছিল কিন্ত তা না করে যেটা করা হয়েছে সেটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল নয়কি? ডিপার্টমেন্টের সংকীর্ণতার ঊর্দ্ধে উঠে প্রকৃত সত্য দৃঢ়তার সাথে তুলে ধরলে পুলিশের ভাবমূর্তি আরো একধাপ উজ্জল হতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক মহল।