প্রকাশিত: ০৩/০৮/২০১৬ ৭:৫৭ এএম

দুই চার দিনের মধ্যেই চাকরিতে যোগ দিতে চান এসপি বাবুল আক্তার। এ জন্য সব ধরনের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে   জানিয়েছেন এসপি বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।  গত ৫ জুন চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। বুধবার এ ঘটনার দু মাস পূর্ণ হবে।

বাবুল আক্তারের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পরিবর্তন ডটকম অনুসন্ধান শুরু করে সোমবার রাতে।  এ সময় বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন টেলিফোনে পরিবর্তন ডটকমের কাছে দাবি করেছিলেন,  বাবুল-মিতুর সন্তানরাই কেবল তার কাছে থাকে। বাবুল কোথায় থাকেন তা তিনি জানেন না।

মোশাররফ হোসেনের মেরাদিয়ার বাসায় মঙ্গলবার গেলে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আমার কথাই এসপি বাবুল আক্তারের কথা।

মোশাররফ হোসেন জানান, তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যেন বাবুল ২-৪ দিনের মধ্যেই চাকরিতে ফিরতে পারেন।

মিতু হত্যা নিয়ে প্রশ্ন বাবা মোশাররফের

মোশাররফ হোসেন পরিবর্তন ডটকমের কাছে তার মেয়ে মিতু হত্যা নিয়ে ৩টি উত্থাপন করেছেন। যেগুলোর উত্তরও তিনি দিয়েছেন। তার প্রথম প্রশ্ন ছিল- ‘মিতু হত্যার মোটিভ কি আমরা জানি?’ উত্তরে তিনি বলেন, মোটিভ এখনো আজানা।

মিতুর বাবার দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল- বাবুলকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে প্রশাসনের কেউ কেন যোগাযোগ করছে না?  উত্তরে তিনিই বলেন, তাকে নিয়ে যাওয়া বা তারও আগে তো আন্তরিকতার অভাব ছিল না।

মোশাররফ হোসেনের তৃতীয় প্রশ্ন ছিল- হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দি কোথায় ? কেন ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটল? এরপর স্বগতোক্তি করেন মিতুর বাবা- ‘হত্যার সাথে বাবুল আক্তার কেন, যে কেউ জড়িত থাকলে তার বিচার চাই।’

তিনি বলেন, বাবুল যে অফিসে যাচ্ছে না তার কি খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন ছিল না প্রশাসনের? কেউ তো খোঁজ নিচ্ছে না, এটাও রহস্যময়।

পরিবর্তন ডটকমের এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় বাবুল আক্তার ও তার সন্তানরা ওই বাসায় ছিল।

চট্টগ্রামে বাসার অদুরে শিশুসন্তানের সামনে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে গত ৫ জুন হত্যা করা হয় আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে।

এরপর থেকে নানা রহস্যে ঘুরপাক খাচ্ছে মিতু হত্যাকাণ্ডটি। বিশেষ করে তদন্তের এক পর্যায়ে ঘটনার তিন সপ্তাহ পরে এসপি বাবুলকে ডিবি অফিসে নিয়ে টানা ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। আবার ঘটনার এক মাসের মাথায় ৫ জুলাই রাতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মিতু হত্যার দায়ে আটক সন্দেহভাজন দুই আসামি রাশেদ ও নূরনবী নিহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। একই ঘটনায় অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন আসামি কামরুল ইসলাম প্রকাশ মুছাকে ঘটনার তিন সপ্তাহের মাথায় পুলিশ আটক করেছে এমন অভিযোগ তার পরিবারের। কিন্তু পুলিশ মুছার স্ত্রীর এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

মিতু হত্যার পর থেকে এসপি বাবুলও চাকরিতে দায়িত্ব পালন করছেন না। এ নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাবুল আক্তারের কাছ থেকে অব্যাহতিপত্র নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো সেই অব্যাহতিপত্রের ভাগ্য নির্ধারণ হয়নি। এমনকি এ সম্পর্কে পুলিশের দায়িত্বশীল কোনো পক্ষ কিছু পরিষ্কারও করেননি।পরিবর্তন

পাঠকের মতামত

আমাদের নিয়ত সহিহ, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলেই নির্বাচন: সিইসি

অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ...

নির্বাচন কমিশন গঠন, নতুন সিইসি কক্সবাজারের সন্তান সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সন্তান অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ ...