বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন- বাঁকখালী নদীসহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে খাল ও পাহাড়ি ছড়া থেকে বালি উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বালি উত্তোলনে জড়িতরা সরকারি দলের নেতাকর্মী হলেও তাদের কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। নির্বিচারে বালি উত্তোলনের কারণে বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। চাকমারকুল-রাজারকুল সংযোগ সড়কে ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী সেতুসহ আরও একাধিক সেতু ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বালি উত্তোলনের কারণে ঝূঁকিতে পড়েছে। এজন্য যথাযথ ইজারা ব্যতীত আর কাউকে বালি উত্তোলন করতে দেয়া হবে না।
রামু উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি এসব কথা বলেন। সোমবার, ২৯ জুলাই সকাল ১১ টায় রামু উপজেলা পরিষদের হিমছড়ি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ সিকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নি ও রামু থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইমন কান্তি চৌধুরী।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বিচারে পাহাড় কাটা, মাদক, চোরাচালান, চুরি-ডাকাতি বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সভায় কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম, চাকমারকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনা, গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বাবুল, রাজারকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মুফিজ, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইসমাঈল মো. নোমান, রশিদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম ডি শাহ আলম, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।