টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানায়, মাদক ব্যবসায়ী এবং দালাল চক্রের সাথে আতাঁত করে উপকূলে অপরাধীদের জিইয়ে রাখছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি এবং সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগতো আছেই। বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়, হুমকি ধমকি দিয়ে নানা ভাবে হয়রাণী করছেন তিনি। যানবাহনে চাঁদাবাজি, লোকজনকে মারধরের অহরহ অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নই, তার কর্মকান্ডে স্বয়ং তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মাঝেও চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকে ইতিমধ্যে স্বেচ্ছায় বদলী হয়ে চলে গেছেন অন্যত্রে। পুলিশ পরিদর্শক মাকসুদ আলম যোগদানের পর থেকে বাহারছড়া উপকূলে অপরাধীদের দৌরত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর অপতৎরতার কারণে উপকূলের মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ পরিদর্শক মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সীমান্তের মাদক ব্যবসায়ীরা রোড় পরিবর্তন করে বাহারছড়া দিয়েই এখন ইয়াবা পাচার করছেন। অনেকটা মানসিক সমস্যার কারণে তিনি এমনটি করছেন বলে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক নুরুল হক পুলিশ কর্মকর্তা মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, বিচারপ্রার্থীদের সীমাহীন হয়রাণী করেই যাচ্ছেন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি। বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল্লাহ কোম্পানী অভিযোগ করে বলেন, মাকসুদ আলমের সাথে দলীয় নেতা-কর্মীদের আদৌ দকোন সর্ম্পক নেই।
মাদক ব্যবসায়ী এবং দালালদের সাথে আঁতাত করে সাধারণ মানুষকে হয়রাণী করছেন অভিযোগ এই আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, আইসি মাকসুদের কাছে মানুষের কোন মূল্যায়ন নেই। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাহার জানান, সরকারী বিরোধী লোকজনের সাথে আতাঁত করে আইসি এখানে কাজ করেন। এই আওয়ামী লীগ নেতা আরো অভিযোগ করে বলেন, বিচারের নামে আইসি সাব অবিচার এবং মাদক ব্যবসায়ীর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিন জানান, আইসি সাব একজন একেবারেই অগ্রণযোগ্য অফিসার। তিনি নিজের স্টাফ পর্যন্ত সামাল দিতে পারেন না। সেখানে এতবড় উপকূলীয় এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা তার পক্ষে সম্ভব না। আইসি মাকসুদের বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। তিনি অনতিবিলম্বে মানসিক ভারসাম্যহীন এই অফিসারকে সরিয়ে একজন যোগ্য অফিসার পদায়নের দাবী জানান।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মাকসুদ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো অভিযোগকারী কে? প্রশ্ন করে বসেন। তবে তিনি বলেন, অভিযোগ উঠছে তাতে আর কি হয়েছে? আমার কাজ আমিই করে যাচ্ছি। জেলা পুলিশ সুপার ড: একেএম ইকবাল বলেন, অভিযোগ পেলেই তিনি তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।