নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আদায়ে যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচনোত্তর জবাবদিহি রাষ্ট্র-রূপান্তরমূলক কর্মসূচির রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে এ রূপরেখা প্রণয়ন করেছে তারা। নির্বাচনের আগে ও পরের জন্য দুটি পর্বে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দলটি। শিগগির দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আগামী মাসের মাঝামাঝি দেশবাসীর সামনে এ রূপরেখা উপস্থাপন করবে বিএনপি।
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রূপরেখার প্রথম পর্বে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে 'শর্তের ভিত্তিতে' আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে 'নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের' অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার বিষয়ে উল্লেখ থাকছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন গুরুত্বের সঙ্গে থাকছে। আন্দোলনের গতি-প্রকৃতির নিরিখে যুগপৎ, নাকি স্ব-স্ব মঞ্চ থেকে চলবে- তা নির্ধারণ হবে বলেও উল্লেখ থাকবে।
সূত্র জানায়, রূপরেখার দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্র-রূপান্তর কর্মসূচিতে 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার' আন্দোলনে ভূমিকা রাখা বিজয়ী ও পরাজিত দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, সাংবিধানিক সংস্কার, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠনসহ 'ধ্বংসপ্রাপ্ত' রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের মাঠে রয়েছেন। জনগণের ভোটাধিকারের দাবি আদায়ে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে 'বৃহত্তর ঐক্য' গড়ে তুলতে বেশ কিছুদিন ধরে সংলাপ করেছেন। সংলাপে সব দলই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া ও যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। শিগগির যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচনোত্তর রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা প্রকাশ করবেন তাঁরা। এর পর সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্নেষক ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সমকালকে বলেন, এ সংকট শুধু বিএনপির একার নয়- পুরো জাতির সংকট। অবশ্য দেশের এই পরিণতির জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ে দায়ী। এ থেকে উত্তরণে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। রাজনৈতিক সমঝোতা দরকার। জাতীয় সনদ তৈরি করা দরকার। তাঁরা সুজনের পক্ষ থেকে তিন জোটের রূপরেখার আলোকে ২১ দফা জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, পুরো রাষ্ট্র মেরামত করা দরকার। দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়েছে। শুধু চুনকালি দিয়ে হবে না। সব অংশীজনকে নিয়ে সংলাপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমমনাদের নিয়ে তো জাতীয় সরকার হবে না; জোট সরকার হবে।
যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ডান-বাম-ইসলামী ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। ২০ দলীয় জোটের বেশ কয়েকটি দলসহ নবগঠিত গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত সাতটি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে তারা। দল সাতটি হলো- আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলন, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদ, রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও হাসনাত কাইয়ুমের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
সূত্র জানায়, বিএনপির সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কারের যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তার অধিকাংশই বিএনপির রূপরেখায় স্থান পেয়েছে। বিএনপির চিন্তার সঙ্গে সমমনা ওই সব দলের পরিকল্পনাও প্রায় একই হওয়ায় রূপরেখা নিয়ে মতপার্থক্য হবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় পরিকল্পনা ঘোষণার পরই দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শুরু হবে। ওই সংলাপে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি যৌথভাবেও ঘোষণা হতে পারে।
এ বিষয়ে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব সমকালকে বলেন, সরকারের পতন এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা রূপান্তরের প্রশ্নই গণতন্ত্র মঞ্চের কাছে মুখ্য। আমাদের এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে অন্যান্য সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন অথবা বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রধান করণীয় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। যৌথ রূপরেখা বা যৌথ গণসনদ ঘোষণা আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলনের অনিবার্য পরিণতি। আন্দোলন ও ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই এসবের বাস্তবায়ন ঘটবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সমকালকে বলেন, বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট চলছে, তা একক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর পক্ষে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব নয়। প্রয়োজন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক সংস্কারসহ নতুন করে রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করা। এ জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। তাঁরা বিএনপির সঙ্গে প্রাথমিক সংলাপে তাঁদের দলীয় ও গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেছেন। বিএনপির পরিকল্পনা দেখে পরবর্তী আলোচনা শুরু করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
রূপরেখায় যা আছে :বিএনপির রূপরেখায় রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর সংবিধানের সামগ্রিক পর্যালোচনায় সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন গঠন, প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন, গণমানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে জুডিশিয়াল কমিশন, সৎ সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে মিডিয়া কমিশন, অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশনের প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করা হবে।
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থায়ী সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় আনয়ন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যের সমন্বয়, স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন সংশোধন, কিছু স্পর্শকাতর ক্ষেত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধন, শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ভেটিং সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় নিয়োগ, বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে একটি পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা ও যোগ্যদের বিচারপতি নিয়োগের লক্ষ্যে ৯৫(গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রবর্তন করা হবে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ, ইউনিভার্সেল হিউম্যান রাইটস চার্টার অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে মানবাধিকার কমিশনে নিয়োগ প্রদান, প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীর নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং এই খাতের দায়মুক্তি আইনসহ সব কালাকানুন বাতিলকরণ, বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা, ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন ও শক্তিশালীরূপে গড়ে তোলা, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন এবং তাঁদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিতকরণ, জাতীয় সংসদে নারী আসন বৃদ্ধিকরণ ঘোষণাও বিবেচনায় রয়েছে।
দু'পর্বের পরিকল্পনা :বিএনপি সূত্র জানায়, লক্ষ্য অর্জনে দুটি পর্বে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে বিএনপি। প্রথমত. বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য ডান-বাম-ইসলামী সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করা। দ্বিতীয়ত. নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ী হলে সরকার গঠন ও রাষ্ট্র বির্নিমাণের পরিকল্পনা।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, নতুন বাংলাদেশ ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। পনেরো বছরে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা সংস্কারের জন্য সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চান তাঁরা।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রথম পর্বের লক্ষ্য অর্জনে এরই মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। ঐক্যের পথে যাতে বর্তমান ২০ দলীয় জোট বাধা না হয়, সে জন্য জোটটিকেও নিষ্ফ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। ওই জোটের বাইরে যেসব দলের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ হয়েছে, তারা সবাই যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তারা কেউ নির্বাচনে যাবে না। একই সঙ্গে দেশে আর কোনো একতরফা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছেন তাঁরা।
সূত্র জানায়, দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচনের পর জনগণের কল্যাণে কার্যকর গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার পরিকল্পনাও এর আগে কিছুটা ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কর্তৃক ২০১৭ সালের ১০ মে ঘোষিত 'ভিশন-২০৩০'-এর আলোকে লন্ডনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান 'রোডম্যাপ' ঘোষণা করেছেন। সেখানে বিএনপির লক্ষ্য এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়া নয়- সরকার ১৫ বছরে রাষ্ট্রকাঠামোর যে ধ্বংস করেছে, তা পুনরুদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতা। জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্নির্মাণ করতে চান তাঁরা। সে লক্ষ্য অর্জনে সংবিধান পরিবর্তনসহ রাষ্ট্র-রূপান্তর সংস্কারের যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে- সে বিষয়ে লক্ষ্য স্থির করেছে দলটি। দাবিগুলো নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতির পাশাপাশি ভিশনকে নাগরিক সমাজের মধ্যে উপস্থাপন করে তাদের মতামত সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে বিভাগীয় শহরগুলোতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে চলছে বিএনপির মিডিয়া সেল। এরই মধ্যে সিলেটে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন স্বপন সমকালকে বলেন, বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায়। সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনের বদলে প্রতিষ্ঠিত হবে বহুত্ববাদের চর্চা ও সংস্কৃতি। কার্যকরী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্র-রূপান্তরমূলক সেই বৃহৎ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে কঠিন দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন তাঁরা। খালেদা জিয়ার ঘোষিত ভিশন-২০৩০ এবং তারেক রহমানের ঘোষিত পথনকশার পথ ধরে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে চলছে বিএনপি। সুত্র: সমকাল