বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ ১৪ জনের দেড় বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এই রায় ঘোষণা করেন।
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় আট বছর আগে করা মামলায় তাদের এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পলাতক থাকায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রায়ে দণ্ডবিধি ১৪৩ ধারায় আসামিদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া দণ্ডবিধি ৩২৩ ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়।
বিএনপি নেতা সোহেলের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যার সময় নিউমার্কেটের চার নম্বর গেটে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে পুলিশ নিউমার্কেট থানায় মামলা করে। পরে তদন্ত করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগে বলা হয়, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য সেদিন বিএনপি নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি নেতা হাবিবুন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল ও মীর সরাফাত আলী সফুর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। পুলিশের দেওয়া ওই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত ২০২১ সালের ১৫ই মার্চ বিএনপি নেতা হাবিবুর নবী খান সোহেলসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এই মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে সাক্ষী করা হয়েছিল ২০ জনকে। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সাক্ষী হাজির করেছেন পাঁচজন। আর ওই পাঁচজনই ছিলেন পুলিশ বাহিনীর সদস্য। প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত ১৭ জুলাই