রফিকুল ইসলাম রাইসুল
খুঁজেছি!বহুকাল খুঁজেছি,
খুঁজেছি!অসমাপ্ত বহু ম্লান স্মৃতি,
খুঁজেছি আমি!রুগ্ন দেহের উত্তপ্ত ছায়া।
খুঁজেছি!গা’য়ের সবুজ ক্ষ্যাতের তরুতরু হাতছানি।
খুঁজেছি!জীবনানন্দের সুফলা দৃশ্যপটের ফুটে ওঠা মায়া।
খুঁজেছি!রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতার অমিতের বেশে লাবণ্যের উৎকর্ষিত জীবনখানী।
খুঁজেছি!আমি খুঁজেছি,
আরাকান রাজ্যের ঘেঁষে ওঠা কালাম আজাদের কাব্যিক ভালবাসার চরণ।
খুঁজেছি!নির্বাচিত নজরুলের পথহারা কবিতার সন্ধ্যার আহ্বান।
খুঁজেছি!আমি খুঁজেছি,
তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছরের সংগ্রাম শক্তি।
খুঁজেছি!আমিই খুঁজেছি,
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আন্তজীবনীর ইতিহাস থেকে কারারুদ্ধ জীবনের সফলতা।
খুঁজেছি!
শরৎচন্দ্রের লেখিত দেবদাসের একাত্ব পক্ষ থেকে জীবনের ভালবাসা।
জ্যোৎন্সা শিশির নিঃস্তব্ধ রাতের নিসঙ্গতা খুঁজেছি।
ক্লান্তি চোখের অলস নিদ্রার দীর্ঘতম রাতে অন্ধকারের বিপুল খোঁপায় আমেজ খুঁজেছি।
খুঁজেছি!
তোমাদের এই ভালবাসার জগৎজুড়ে
আমার অন্তরঙ্গতার ঠাঁই।
তবে তোমরা আমাকে তা দাও নি।
অবহেলার নিজস্ব এক হৃদয় ভাঙা গানে আমি নির্বাসিত হবো কোন এক নীল আকাশ পানে।
তোমাদের ভালবাসার দ্বায়ে আমাকে দিও তোমরা নিদারুণ শাস্তি।
আমার ভালবাসার বিসর্জনে রেখে গেছি অজস্র স্মৃতি।
ক্ষণিক আলোর আলোকে,
তোমাদের আঁখির পলকে,
তোমরা মনে রেখো আমাকে।
পাঠকের মতামত