ফেনীর দাগনভূঞায় বিচারপ্রার্থী এক বিধবা নারীকে ধর্ষণে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। থানায় বিচার চাইতে গিয়ে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন।
দাগনভূঞা থানা পুলিশের এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) দেলোয়ার হোসেন তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেন। দাগনভূঞা থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা কাছে স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে থানার রাইটার মান্নানকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ারকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, নির্যাতিত বিধবা ওই নারী থানা হেফাজতে রয়েছেন। এই বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ওই বিধবা নারী এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও রাইটার মান্নানকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। মামলা নং-০৯/১৬, তারিখ-২৩/০৫/২০১৬ইং। নির্যাতিত ওই বিধবার বাড়ি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামে বলে জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানায়, রবিবার সকালে পারিবারিক একটি সমস্যা নিয়ে অভিযোগ দিতে থানায় যান তিনি। তার কথামতো রাইটার আবদুল মান্নান অভিযোগ লিখে তাকে নিয়ে থানার সামনের জামান টাওয়ারে যান। সেখানে এএসআই দেলোয়ারের কক্ষে তাকে রেখে মান্নান সটকে পড়ে।
বিধবার অভিযোগ, একপর্যায়ে দেলোয়ার দরজা আটকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তিনি সেখান থেকে ছুটে এসে বিষয়টি ওসিকে অবহিত করলে তিনি রাইটার মান্নানকে আটক করেন।
নির্যাতিত বিধবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরো জানান, তার স্বামী বেশ কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার তিনটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
পাঠকের মতামত