উচ্চ আদালতের সব প্রক্রিয়া শেষে যেদিন খুনিদের ফাঁসি হবে, সেদিন পরিবারের সবাই শান্তি পাবে বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার বাদী ও বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।
চার বছর আগে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পরে টেকনাফ থানার তৎকালীন (বরখাস্ত) ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশে সিনহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা প্রমাণ হওয়ায় বিচারিক আদালত তাঁকে ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ (বরখাস্ত) পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন রায়ে আরও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন এবং সাত পুলিশ সদস্যকে বেকসুর খালাস দেন। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার এক সপ্তাহ পর ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স জমা হয়। আর দুই সপ্তাহের মাথায় রায় বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন প্রদীপ ও লিয়াকত। পরে যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরাও আপিল করেন। উচ্চ আদালতে মামলাটির পেপারবুক তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সমকালের সঙ্গে আলাপকালে মামলার বাদী শারমিন বলেন, বিচারিক আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে প্রত্যাশা অনেকটা পূরণ হয়েছে। আমরা চাই, দ্রুত উচ্চ আদালতের সব প্রক্রিয়া শেষে ভাইয়ের খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হোক।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন পিপি ফরিদুল আলম বলেন, সিনহা হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত। আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন। রায়ের পর প্রদীপ
কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। এখনও শুনানি শুরু হয়নি। আমাদের প্রত্যাশা, হাইকোর্টও তাদের সাজা বহাল রাখবেন।
পাঠকের মতামত