ভেঙে গেল চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও চিত্রনায়ক শাকিব খানের সংসার। অবশেষে শাকিব খানের বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন স্ত্রী অপু বিশ্বাস।
সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পারিবারিক আদালতে এই তারকা দম্পতির বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে দ্বিতীয় সালিশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই অপু বিশ্বাস জানিয়ে দেন, শাকিব খানের বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন তিনি। যে জন্য দ্বিতীয় সালিশে যাওয়ার আর কোনো দরকার আছে বলে মনে করেন না তিনি।
এর কারণ হিসেবে এই অভিনেত্রী বলেন, 'দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রখতে হলে একে-অপরের প্রতি আস্থা থাকতে হয়। মনের মিল না হলে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না। একজন স্ত্রীর পক্ষে যা কিছু মেনে নেওয়া সম্ভব, তা মানার চেষ্টা করেছি আমি। তারপরও শাকিব তার সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছে। শাকিব যেটা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে। আমিও তাই ডিভোর্স মেনে নিয়েছি।'
গত বছরের ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসের বাসার ঠিকানায় তালাকনামা পাঠান শাকিব খান। তালাকের কারণ হিসেবে নোটিশে বলা হয়, অপু বিশ্বাস শাকিবের পছন্দের সীমার মধ্যে থাকেননি। সম্প্রতি তাদের সন্তানকে গৃহপরিচারিকার কাছে রেখে দেশের বাইরে যান অপু।
চিত্রনায়িকা অপু আরও বলেন, 'সবাইকে কোনো না কোনো কিছু আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে হয়। আমার এখন একটাই অবলম্বন—অাব্রাম। তাকে নিয়েই আগামী দিনগুলো নতুন করে সাজাতে চাই।'
এদিকে, শাকিব এখন শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া অবস্থান করছেন। তার পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম জানান, আইন অনুযায়ী ২২ ফেব্রুয়ারি শাকিব-অপুর তালাক কার্যকর হবে। এর পর শাকিব দেনমোহরের টাকা পরিশোধ ছাড়াও প্রতি মাসে সন্তানের খরচ বাবদ অপুকে এক লাখ টাকা প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে চলচ্চিত্রে শাকিব-অপু জুটির যাত্রা শুরু। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল দুজনে গোপনে বিয়ে করেন এবং গত সেপ্টেম্বরে কলকাতায় তাদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি তারা গোপন রেখেছিলেন। এরপর গত ১০ এপ্রিল সন্তান কোলে টেলিভিশন লাইভে এসে নাটকীয়ভাবে এ বিষয়ে মুখ খোলেন অপু। শুরুতে এ নিয়ে শাকিব নানা কথা বললেও পরে মিটমাট করে ফেলেন। কিন্তু বিয়ের খবর প্রকাশের ৯ মাসের মাথায় অপুকে তালাকনামা পাঠান শাকিব। অপু ৭২টি ছবিতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন; যার মধ্যে বেশিরভাগ ছবি ব্যবসা সফল।