সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। হতাহতরা কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের কর্মী।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার বাঘেরসড়ক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তাতিকোনা গ্রামের সৈয়দ জুনেদ আলমের ছেলে সৈয়দ মকসুদ হাসান মহান (১৮), উপজেলার রাধানগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল আজিজ সায়েম (২১) ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খলাবাড়ি গ্রামের আবদুল হাশিমের ছেলে হাফিজুর রশিদ (১৯)।
গুরুতর আহত অবস্থায় নিহত মহানের চাচাত ভাই সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে তাহমিদ আহমদকে (১৮) ওসমানীতে ও ছাতকের মন্ডলীভোগের জামিল আহমদের ছেলে মাহি আহমদকে (২১) একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জের ছাতক শহরের তাতিকোনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির কর্মীসভার আয়োজকদের মধ্যে তারা ছিলেন অন্যতম। সন্ধ্যায় তাদের সেখানে সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তারা কয়েকজন মিলে একটি প্রাইভেটকারে সিলেটের জৈন্তাপুর শাপলা বিল ঘুরতে যান। সকালে ফেরার পথে বাঘেরসড়কের ধামড়ী এলাকায় তাদের কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে কারটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মহান ও সায়েম। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান রশিদ।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, নিহতদের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনুমতি নিয়ে এলে লাশ হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার জন্য বিকেল ৫টার দিকে তারা সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন।