দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত কতিপয় শিক্ষক অনুমোদন ব্যতীত কিংবা অনুমোদিত ছুটি শেষ হওয়ার পরও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষকদের শাস্তি এবং তাদের দেখভাল করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৪ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-১ অধিশাখা থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত কতিপয় শিক্ষক অনুমোদন ব্যতীত কিংবা অনুমোদিত ছুটি শেষ হওয়ার পরও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। ফলশ্রুতিতে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘিত হচ্ছে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯; সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ এর সংশ্লিষ্ট বিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
‘অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। ফলে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে এবং যথাযথভাবে একাডেমিক সুপারভিশন হচ্ছে না। এ ধরনের অনিয়মের বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করা হচ্ছে না, ফলে দায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না। ‘
এতে আরো বলা হয়, বর্ণিত অবস্থায় অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত শিক্ষকসহ দায়িত্বে অবহেলাকারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষক/কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়া সকল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ ধরনের অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়।