বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে দুবাই থেকে ঢাকায় অবতরণের পরপরই উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তিনি। প্রয়াত উপদেষ্টাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান ড. ইউনূস।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। উপদেষ্টা হাসান আরিফ একজন শীর্ষ আইনজীবী, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
বাংলাদেশের সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কয়েক দশক ব্যাপী দীর্ঘ জনসেবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, হাসান আরিফ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী হিসেবে এবং ভিন্নমতাবলম্বী, ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর ও আমাদের সমাজের প্রান্তিক মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় তাঁর সক্রিয় ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক
উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
পরিবেশ উপদেষ্টার শোক
এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভূমি এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার মৃত্যুতে জাতি একজন দক্ষ এবং নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্বকে হারাল। আইন অঙ্গন, দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে তার অবদান সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
পাঠকের মতামত