উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
আলোচিত এক এগারোর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশে ফেরার পথে লন্ডনে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার স্মৃতি বারবার মনে পড়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে গেলেই বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার সেই স্মৃতি মনে পড়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর। পাগলের মতো প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরতে চেয়ে বাধার মুখে পড়া সেই বেদনার স্মৃতি আজও ভুলতে পারেন নি প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটাই জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এক এগারোর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে লন্ডনে এয়ারপোর্ট থেকে একাধিকবার তাকে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ার বিষয়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, যখনই বিদেশ থেকে দেশে ফিরি বিমানবন্দরে এলে সেই সময়ের কথা মনে হয়। আমি পাগলের মতো দেশে ফিরতে চেয়েছি। কিন্তু আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দর থেকে একাধিকবার আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ সময়ে প্রিয় জন্মভূমিই তাকে সব থেকে বেশি টানে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগদান শেষে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩ দিন বেশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনে এতগুলো বছর কখনো ছুটি কাটাইনি। এবার ৩দিন ছুটি কাটালাম। যদিও সেখানে থেকে অনেকগুলো ফাইল আমি সই করেছি। সন্তানরা চায় তাদের সঙ্গে কিছু সময় কাটাই। তবে দেশের মাটিতেই আমার ভাল লাগে, দেশে ফিরলেই আমি স্বস্তি পাই।
বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার পাশে নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা গ্রহণ শেষে সাড়ে ৭টার দিকে গণভবনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে অভিনন্দন জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, অসীম কুমার উকিল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নীপা প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী গণভবনে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে গণভবনের মূলভবনের গেটে কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সহ কয়েকজন একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তারা সমস্বরে গেয়ে ওঠেন, ‘আজই বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি...’ গানটি। পরে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত নেতাকর্মী ও বিশিষ্টজনদের কুষলাদি জিজ্ঞেস করেন। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী এবারে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর ফলপ্রসু হয়েছে বলে জানান।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তার অতি স্নেহের নাতি-নাতনীরা। প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির সন্তানেরা সহ আরো কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সন্তানেরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।