নিউজ ডেস্ক::
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর পেটে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যাত্রী ইমাম হোসেনকে (৩০) রোববার দুপুরে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে আটক করা হয়। পেট থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট বের করার জন্য সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ডিজি ড. মঈনুল খান জানান, ইমাম হোসেনের বাবা আব্দুল আমিন। তাদের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। কিন্তু তাসনিম ফকরুল নাম-পরিচয় দিয়ে তিনি কক্সবাজার হয়ে নভোএয়ারের ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে নামলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যাত্রী জানান, তার পাকস্থলীতে ৪০টি পলিথিনের প্যাকেট রয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে সুরক্ষিতভাবে রাখা আছে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। এগুলো বিশেষ কায়দায় মুখ দিয়ে প্রবেশ করানো হয়েছিল তার পেটে। পরে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিরাপদে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ইমামের পেট থেকে বের করে আনার চেষ্টা করা হয়। ব্যর্থ হয়ে সন্ধ্যায় তাকে স্থানান্তর করা হয় ঢামেক হাসপাতালে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইয়াবার ওই চালান মিয়ানমার দিয়ে টেকনাফ হয়ে প্রবেশ করে ঢাকায় আনা হয়েছে। ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চক্রের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও ড. মঈনুল খান জানান।
রাত ৯টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. সবুজ আমাদের সময়কে বলেন, অন্যান্য ঘটনায় আগে লক্ষ্য করা গেছে, পাচারকারীরা শরীরের পশ্চাতদ্বার দিয়ে পেটে প্রবেশ করাতেন সোনা ও ইয়াবা ট্যাবলেট। কিন্তু ইমাম হোসেন প্যাকেটের সাহায্যে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো পেটে প্রবেশ করিয়েছিলেন মুখ দিয়ে। এতেই বিপত্তি হয়েছে। ইয়াবাগুলো বের করার জন্য তার চিকিৎসা চলছে বলেও পরিদর্শক সবুজ জানান।
পাঠকের মতামত