উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প:১'র জি ব্লকের মাহমুদুল্লাহর ছেলে আনাস খানের বিরুদ্ধে নানান অপরাধের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে আগে থেকেই।অনলাইন জুয়া খেলায় সম্পৃক্ত করে শতশত মানুষ'কে ফতুর করে পথে বসিয়েছেন।এবার অভিযোগ উঠেছে আরোও গুরুতর।
এক রোহিঙ্গা তরুণী'কে বিয়ের প্রলোভনে বশ করে টানা ৫ বছর ধরে বিয়ে বহিভুর্ত ধর্ষণ করে আসছেন,তাও ক্যাম্পের বাইরে নিয়ে গিয়ে।
এই জঘন্য অপরাধের প্রতিকার চেয়ে এক রোহিঙ্গা তরুণী ক্যাম্প ওয়ান সিআইসি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,রোহিঙ্গা তরুণীর সাথে আনাস খানের প্রেমের সম্পর্ক হয়।এ সুত্রে ৫ বছর পুর্ব থেকেই বিয়ের প্রলোভনে বস করে তরুণী'কে চট্টগ্রামের এক ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল বলে জানা যায়।
পরে অভিযুক্ত আনাস খানের পরিবার এ সম্পর্ক মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঐ তরুণীকে তার বাবা মা'র কাছে পাঠিয়ে দেন। ছেলে আনাস খানকে ক্যাম্পে নিয়ে এসে অন্যত্রে বিয়ে দেওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেন। বিষয়টি রোহিঙ্গা তরুণী জানতে পারলে তাব বাসায় যায়।বাসায় অভিযুক্ত আনাস খানের মা-বাবা ভাই বোনসহ সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে তরুণী'কে অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ করেন এবং তাড়িয়ে দেন বলে জানান তরুণী।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আনাস খান আমাকে বিয়ে করবে বলে ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।সে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেওয়া বাসায় গত ৫ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল।এতে আমি একাধিকবার অন্তসত্তা হয়ে পড়লে জোর করে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে গর্ভপাত ঘটান। এখন আমাকে না জানিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছে শুনে আমি গত ১ সেপ্টেম্বর ক্যাম্প-১ সিআইসি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি।
আমি আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার ন্যার বিচার চাই। আমি আনাস'কে নিয়ে সংসার করতে চাই। সে আমার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতেছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করছি।
রোহিঙ্গ যুবক আনাস খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে,তার ব্যবহ্নত নাম্বার বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।