ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৩/১১/২০২৩ ১০:০৩ এএম

বিতর্ক ও গায়ক মইনুল আহসান নোবেল যেন একই সুতোয় গাঁথা। মাঝে মাঝেই অস্বাভাবিক সব কাণ্ড ঘটিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। দুদিন আগে ফেসবুকে নোবেল তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়ে ফের আলোচনায় আসেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন ফারজান আরশির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে এতোদিন ফারজান আরশি বক্তব্য না দিলেও আজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিয়ের বিষয়টি আস্বীকার করেছেন।

ফেসবুককে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে নোবেলের বিরুদ্ধে তাকে জোর করে মাদক সেবন করানোর অভিযোগ এনে ফারজান বলেন, নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলা তুলে। নোবেলের সাথে তার কোনপ্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোন সম্পর্কও নেই। এ বিষয়ে ডেমরা থানায় জিডিও করেছেন তিনি।

বুধবার বিকেলে ফেসবুকে ফারজান আরশি জানান, ‘আমি এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য। আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবী ও ছিলো। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অনঅন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোড় ধরে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথা মত ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যে বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করাছিলো। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি প্রসঙ্গে ফারজান বলেন, ‘নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলা তুলেছে। নোবেলের সাথে আমার কোনপ্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোন সম্পর্ক ও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।’

সব শেষে তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার খুব ভয়ভীতির মধ্যে আছি। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতা চাচ্ছি। আমি একটি মেয়ে আমি আমার পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই।’

জিডির বিষয়ে ঢাকা মহানগর ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বেশ ক’দিন আগে ফারজান আরশির বাবা থানায় এসে মৌখিভাবে জানান তার মেয়েকে গায়ক নোবেল জোর করে তুলে এনেছেন। তবে তিনি লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। পরে ফারজানা আরশি এসে জানান, তার বয়স ২২ বছর তাকে নোবেল জোর করে তুলে আনেনি। তিনি স্বেচ্ছায় নোবেলের সঙ্গে এসেছে। কিন্তু উভয় পক্ষের কেউ আমাদের কাছে লিখিত কিছু জানাননি।

পরে ফারজান আরশির আজকের স্ট্যাটাসে নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সূত্র ধরে কোনো ব্যবস্থা পুলিশ নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

পাঠকের মতামত

অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার

জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি শমী কায়সারকে ...