প্রথমে প্রেম তারপর পরিণয়। সেই পরিণয়ের আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নিতে স্বামীর হাত ধরে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী। গত ১০ জুন এই তরুণীর সঙ্গে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার এক যুবকের ইন্দোনেশিয়ায় তাদের রীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ওই যুবকের নাম শাকিউল ইসলাম (২৯)। তিনি ক্ষেতলাল উপজেলার কুসুমশহর গ্রামের আমিনুর ইসলামের ছেলে। আর তরুণীর নাম তারাডা বার্লিয়েন মেগানেন্দা (২৭)। তার বাবার নাম লাসিমিন। ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তারাডা বার্লিয়েম। প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় ছুটে গিয়েছিলেন শাকিউল। বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছেন।
শাকিউলের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাকরির সুবাদে প্রায় ৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকতেন শাকিউল। সেখানে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত রয়েছেন। ঢাকা থাকা অবস্থায় ইন্টারন্যাশনাল ভাষা শিক্ষা ফোরামের একটি অনলাইন সাইটের মাধ্যমে শাকিউল ও তারাডা বার্লিয়েমের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে তাদের প্রেম চলে। গত ২ মাস আগে শাকিউল ইসলাম ইন্দোনেশিয়ায় যান। এ মাসের ১০ জুন ওই দেশের আইন ও রীতি মেনে সেখানে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এরপর মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে নবদম্পতি কুশুমশহর গ্রামে শাকিউলের বাড়িতে আসেন। সেখানে তাদের দেখার জন্য এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। আগামী বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এখানে তাদের বউভাত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
শাকিউল ইসলাম বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ভাষা শিক্ষা ফোরামের একটি অনলাইন সাইটের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। সেখান থেকেই প্রেমের সম্পর্ক। আমি তার দেশে গিয়ে ওই দেশের আইন ও রীতি মেনে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। আগামী বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে ছোট করে বউ ভাতের আয়োজন করব।
সম্পর্কে শাকিউলের প্রতিবেশী চাচা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, ভাতিজা শাকিউলের সঙ্গে বৌমা তারাডার সম্পর্ক ছিল। এরপর শাকিউল ওই দেশে গিয়ে বিয়ে করে এবং নতুন বউ বাড়ি নিয়ে এসেছে। গ্রামের লোকজন-আত্মীয়রা সবাই ইন্দোনেশিয়ার মেয়েটিকে দেখতে যাচ্ছে। আমরা খুশি হয়েছি। তারা দাম্পত্য জীবনে সুখী হোক এই দোয়া করি।