১৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার। কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরী ময়দানে বসবে কুরআনের পাখিদের মিলনমেলা। বিশ্বসেরা নাজমুস সাকিবদের কণ্ঠে বাজবে কুরআনের মধুর সুর। কুরআন যেহেতু কেবল মুসলিমদের জন্য, এটি পৃথিবীর সকল জাতির জন্য। তাই কুরআনের অমীয় বাণী শুনতে অমুসলিম সহ সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রতিযোগিতার আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে ৬ষ্ট হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা। পাশাপাশি শানদার হাদর ও ক্বিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কক্সবাজারের আট উপজেলা থেকে ইতোমধ্যে তিন শতাধিক প্রতিযোগী এসে পৌঁছেছেন। সকাল ৮টায় প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু হবে। ৯টায় যথাসময়ে শুরু হবে প্রতিযোগিতার মূল কার্যক্রম।
তিনি আরও বলেন, ১০ পারার প্রতিযোগিরা বদর মোকাম জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায়, ২০ পারার প্রতিযোগিরা শামসুন্নাহার হেফজখানার তৃতীয় তলা ও ৩০ পারার প্রতিযোগিরা শামসুন্নাহার হেফজখানার দ্বিতীয় তলার অবস্থান করবে। সেখানেই তাদের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৬টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চলবে হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা।
হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার মিডিয়া পার্টনার কক্সবাজারের প্রথম ইউটিউব চ্যানেল ডিসকভার কক্স। চ্যানেলের পরিচালক আবদুল্লাহ নয়ন জানান, দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ রেকর্ড করা হবে। পরবর্তীতে তা কয়েক পর্বে ডিসকভার কক্স’র চ্যানেলে প্রচারিত হবে। এছাড়া অনুষ্ঠানের মূল পর্ব ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করা হবে।
হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ ফরাজী জানিয়েছেন, বিশ্বসেরা হাফেজে কুরআন নাজমুস সাকিব, নাহিয়ান কাইছার সহ জাতীয় বহু ক্বারী রাতেই কক্সবাজার পৌঁছেছেন। বিকেল ৪টায় অর্থাৎ আছরের নামাযের পর শুরু হবে ক্বিরাত ও হাদর মাহফিল। মাগরিবের আগ পর্যন্ত স্থানীয় ক্বারীদের তিলাওয়াত চলবে। এরপর এশারের আগ পর্যন্ত চলবে জাতীয় ক্বারীদের কুরআন তিলাওয়াত। মুল আকর্ষণ বিশ্বসেরা নাহিয়ান-সাকিবরা কুরআন তিলাওয়াত করবেন এশার নামাযের পর।
ইউনুছ ফরাজী বলেন, প্রতিযোগিতা চলার ফাঁকে জেলার হুফাজ শিক্ষকদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষকদের আরও বেশি আধুনিক-দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হবে মতবিনিময় সভায়। সব মিলিয়ে রাত এগারটার দিকে পুরষ্কার বিতরণের মধ্য অনুষ্ঠান শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া। শত কষ্ট হলেও প্রতিযোগিতা ও মাহফিলটি হতে যাচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে যারা এ মাহফিল আয়োজনে সহযোগিতা করছেন আল্লাহ পাক তাদের সকলকে কবুল করুন। এ প্রতিযোগিতা যেন কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকে এজন্য সকলের এগিয়ে আসা উচিত।
পাঠকের মতামত