নিউজ ডেস্ক::
ঘুম মানুষের জীবনে এতোটাই উপকারী যে, সময় ও প্রয়োজন মতো ঘুম স্মৃতিশক্তি ভালো করে, আবেগগত সমস্যা দূর করে, যৌনতায় উন্নতি ঘটায়, আয়ু বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, মানসিক চাপ কমায় ও ফ্রেস অনুভূতি নিয়ে আসে।
অথচ গোটা বিশ্বে নাকি অন্তত ১০০ মিলিয়ন (১০ কোটি) মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে পারছে না। যার মধ্যে ২২ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক নিদ্রাহীনতায় ভুগছে। এছাড়াও বিশ্বের মোট ৮ শতাংশ মানুষ অনিদ্রাজনিত অসুখ এবং নাকডাকা সমস্যায় আক্রান্ত।
বুধবার (২১ মার্চ) ‘বিশ্ব ঘুম দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জন্স ফর স্লিপ অ্যাপনিয়া আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই ঘুমে সমস্যা হতে পারে। তবে বয়স ভেদে এর কারণের ভিন্নতা রয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত এডিনয়েড ও টনসিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিজনিত কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। বড়দের ক্ষেত্রে নাকের হাড় বাকা, বড় আকারের টনসিল, নাকের পলিপ এবং অতিরিক্ত ওজনের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত হয়।’
তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন ঘুমের ঘাটতি মানবদেহে উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, হৃদরোগের মতো জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়তে পারে ডায়াবেটিসও।’
সংগঠনের সভপতি ডা. মো. খোরশেদ আলম মজুমদারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।
ব্রেকিংনিউজ