নীলফামারীর ডিমলায় বিয়ের দাবিতে পুলিশ প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন করেছে কলেজ পড়ুয়া সুবর্না রানী নামের এক ছাত্রী। সে ডিমলা সদর ইউনিয়নের হাইস্কুল পাড়া গ্রামের রমেশ চন্দ্র রায়ের কন্যা ও ডিমলা সরকারী মহিলা কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
জানা গেছে, সুবর্না রানী সাথে ডিমলা সদরের পন্ডিতপাড়া গ্রামের রঞ্জিত চন্দ্র রায়ের পুত্র নারায়ন চন্দ্র রায় (২০) এর দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক
চলে আসছিল। নারায়ন চন্দ্র বর্তমানে পুলিশ কনষ্টেবল পদে গাজীপুর জেলায় চাকুরী করছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুবর্নাকে নিয়ে নারায়ন চন্দ্র বাড়ী আসলে পরিবারের লোকজন সুকৌশলে সুবর্নাকে আটক করে নারায়নকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। নারায়ন বাড়ী থেকে বের হয়ে গেলে গতকাল শুক্রবার সকালে সুবর্নাকে বাড়ীর উঠানে শারিরীক নির্যাতন করতে থাকে নারায়নের পরিবারের লোকজন। এবং এক পর্যায় সুবর্নাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ী হতে বের করে দেয়।
শারিরীক নির্য়াতনের শিকার হয়ে সুবর্না নারায়নের বাড়ীর বাহিরে বিয়ের দাবীতে অনশন করতে থাকে। পরে কৌশলে নারায়নের পিতা রঞ্জিত ডিমলা থানা পুলিশের সহযোগীতায় শুক্রবার রাতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সুবর্না দাবি করেন, নারায়ন প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছে। তাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে সাংবাদিকদের জানায়।
ডিমলা থানার এসআই সজল কুমার সরকার বলেন, নারায়নের পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে সুবর্নাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।