পিরোজপুর থেকে : পিরোজপুরে ২৫ বছরের এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার এক প্রেমিক ৩ বছর ধরে ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর অতিসম্প্রতি সোহাগ খান (৩৫) নামের তার ওই প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামী পলাতক রয়েছে।
মামলার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, পিরোজপুর সদর উপজেলার বড় জুজখোলা গ্রামের মো: আক্কাস আলী খানের মেয়ে কলেজে পড়াশুনা করে। তার এক আত্মিয় একই গ্রামের প্রবাসী ফেরদৌস খানের ছেলে সোহাগ খান ওরফে কাদের খান (৩৫) তাদের আত্মিয়তার সুবাদে ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করতে থাকে। এ ভাবে আসা যাওয়া করতে থাকায় সোহাগের সাথে ২০১৪ সালের আগষ্ট মাসে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে কেউ ঘরে না থাকলে সে সুযোগে সোহাগ শোবার ঘরে ঢুকে তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসময় সোহাগের বাবা বিদেশ ছিলেন। মেয়ে বিভিন্ন সময়ে সোহাগকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে তার বাবা বাড়িতে আসলে তাকে বিয়ে করবে বলে সোহাগ জানায়।
এ ভাবে প্রায়ই সোহাগ তার সাথে মেলামেশা করতো। সর্বশেষ ২০ জুন রাতে সোহাগ তাকে ধর্ষন করলে সে বিয়ে করার জন্য তাকে চাপ দেয়। তখন সোহাগ বিয়ের ব্য্পাারে তার মা বাবাকে জানাবে বলে জানায়। কিন্তু তার বাবা বিদেশ থেকে আসলেও বিয়ের ব্যাপারে কোন আলাপ আলোচনা না হওয়ায় ঈদের পর মেয়ের মা বাবা ছেলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় ছেলের বাবা মা ওই মেয়ের সাথে বিয়ে দিতে অস্বীকার করে। এমনকি ওই ছেলে নিজেও মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে মেয়ের বাবা মা বিয়ের ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করলে ছেলের বাবা বিষয়টি দফারফা করতে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মেয়ের বাড়িতে পাঠায়। এ ঘটনার পরে ওই ধর্ষিতা মেয়ে বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তারপর থেকে সোহাগ পলাতক রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মেয়ের মা হাওয়া বেগম আক্ষেপ করে বলেন, একটি মেয়ের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তার স্বতীত্ব। তার মূল্য আজকাল টাকায় কেনাবেচাঁ হয়। ৩টি বছর সোহাগ তার মেয়ের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। অথচ তার বিচার কি তারা পাবেন না।
ধর্ষিতার পিতা মো: আক্কাস আলী খান জানান, ধর্ষকের এমন শাস্তি হওয়া উচিত যাতে আর কেউ কোন দিন কোন মেয়র সাথে এ ধরনের আচরন করার সাহসনা পায়। তারা সোহাগের কঠিন শাস্তি দাবী করেন। এ ঘটনায় মেয়ে জানায়, মামলা তোলার জন্য সোহাগ প্রতিনিয়ত তাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে লজ্জায় অন্যদিকে ভয়ে সে কলেজে যেতে পারছে না। সে সোহাগের সাথে তার সম্পর্কের সামাজিক ও আইনগত ভিত্তি দাবী করে।
পাঠকের মতামত