কক্সবাজারে আবারো ভাঙছে সৈকত। সাগরের বড় ঢেউয়ের তোড়ে জিও ব্যাগ ফেটে গিয়ে নতুন অংশে আঘাত হানছে উত্তাল সাগরের ঢেউ। বৈরী আবহাওয়ায় ভালো নেই সৈকত পাড়ের কেউ।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোয়ারে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল অবস্থায় রয়েছে। সোমবার সকালে জোয়ার শুরু হতেই এক লাফে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ে দুই ফুট।
ঢেউগুলো তার চরিত্র পাল্টায় মুহূর্তেই। কখনো হুঙ্কার ছেড়ে ধাক্কা দেয় সমুদ্র বালিয়াড়িতে। সেই সঙ্গে সৈকতকে ভেঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সাগরে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান স্বীকার করলেন, জিও ব্যাগ সাগরের তাণ্ডব রক্ষা করতে পারছে না। বিকল্প পরিকল্পনায় আছেন তারা।
ছুটির দিন না হলেও সৈকতে এখনো কিছু পর্যটক আছেন। সাগর থেকে বেশ খানিকটা দূরে অবস্থান করছেন তারা। সৈকতে ছাতাগুলো পড়ে আছে খালি। মন খারাপ ছাতা ওয়ালাদের।
উত্তাল সাগরে দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর বিচকর্মী ও লাইফগার্ড। নিম্নচাপ আর পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে তিন নম্বর সংকেত লাল পতাকা উড়ছে সৈকতে।
টুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপদে ও সর্তকতার সঙ্গে সমুদ্র পাড়ে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটকদের যেন সাগর সৈকতে কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে না হয়, সেজন্য সমুদ্র সৈকত এলাকায় লাইফ গার্ড সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে নোঙ্গর করেছে বলে জানিয়েছে জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক।
আরও পড়ুন: উপকূলে জলবায়ু সহনশীল বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা জরুরি: বিশ্বব্যাংক
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। আরও কয়েকদিন থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস