সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা উরুগুয়ের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল। যে ম্যাচটি দেখতে ফুটবলবিশ্ব অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। তেমনই উত্তেজনাপূর্ণ খেলা উপহার দিয়েছে সেলেসাও ও উরুগুয়ে শিবির। যদিও প্রথমার্ধে কোনো দলই জালের দেখা পায়নি। খেলার পাশাপাশি শারিরীক ও কথার আক্রমণে উত্তেজনা ছড়ালেও গোলশূন্য সমতায় বিরতিতে গেছে দুই দল।
উরুগুয়ে যেখানে ৫টি শট নিয়ে কোনোটিই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি, সেখানে তিন শটের মধ্যে দুটি লক্ষ্যে ছিল ব্রাজিলের। বল দখলেও দু’দল ছিল সমানে সমান। তবে এরই মাঝে উরুগুয়ের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে তারকা সেন্টারব্যাক রোনাল্ড আরাউহোর ইনজুরি। যে কারণে ৩২ মিনিটে তিনি মাঠ ছেড়ে যান।
লাস ভেগাসের অ্যালিগায়েন্ট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি। আগেই জানা গিয়েছিল আগের দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ম্যাচটি খেলতে পারবেন না। ফলে তার অনুপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো সেলেসাও একাদশে খেলার সুযোগ পেয়েছেন ১৭ বছর বয়সী তরুণ স্ট্রাইকার এন্ড্রিক ফেলিপে। বড় ম্যাচে তার ভূমিকা দেখার অপেক্ষায় ছিল ব্রাজিলভক্তরা, তবে এখন পর্যন্ত মাঠের খেলায় তিনি সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি।
লাতিন আমেরিকার অন্যতম শক্তিশালী ও ফর্মে থাকা দল উরুগুয়ে যেমন বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে, তেমনি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিলও। ১০ মিনিটের মাথায় ডারউইন নুনিয়েজ সুযোগ পেয়েছিলেন উরুগুয়ের হয়ে লিড নেওয়ার। তবে তিনি হেড দেওয়ার চেষ্টায় ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি।
ব্রাজিলও বড় সুযোগ মিস করে ২৮তম মিনিটে। এন্ড্রিকের বাড়ানো বল ডি বক্সের ভেতর পেতে পারতেন রাফিনহা। কিন্তু এই সেলেসাও উইঙ্গার বলের কাছেই পৌঁছাতে পারেননি। উরুগুয়ে বিপদমুক্ত হয়ে একটু পরই পাল্টা আক্রমণে যায়। এবারও দৃশ্যপটে নুনিয়েজ, তবে এবার তার হেড চলে যায় গোলপোস্টের ওপর দিয়ে। এভাবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণেও বিরতির আগপর্যন্ত কেউ গোলের দেখা পায়নি।