ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৭/১১/২০২৪ ১২:২৪ পিএম

পর্যটনের ভরা মৌসুমেও চালু হয়নি সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও কিছু বিধি-নিষেধ দিয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া ঘাট নির্দিষ্ট না করায় জাহাজ ছাড়া নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা। ফলে বিপাকে পড়েছেন সেন্টমার্টিনবাসী এবং পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে গেল ডিসেম্বর থেকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জানুয়ারিতে ইনানী ঘাট থেকে দুটি জাহাজ চালু হলেও, কয়েকদিন পরেই তা বন্ধ করা হয়।

সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন পর্যটকেরা। যদিও প্রশাসনিক বিধি নিষেধের কারণে এখনও সেখানে পা পড়েনি পর্যটকের। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এই খাতে জড়িতরা।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যেও ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে আমাদের চলা খুব কঠিন হয়ে গেছে। আমরা স্বর্ণ অলংকার বন্ধক দিয়ে কোনো রকম চলতেছি। জমি বিক্রির সুযোগ নেই। কারণ এখানে কেউ বিনিযোগ করছে না।’

পর্যটক না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সেন্টমার্টিনবাসী।
পর্যটক না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সেন্টমার্টিনবাসী। ফাইল ছবি
আরেক ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘চার মাস পর্যটক রাত্রী যাপন করুক, অবাধে নয়, সীমিত করনের মাধ্যমে। প্রতিদিন ৫ হাজার লোক চার মাস আসুক, বাকি ৮ মাস পরিবেশ মন্ত্রনালয় থেকে যে নীতিমালা দিবে সেটা পরিবেশ বান্ধব করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা প্রস্তুত আছি।’

জানা গেছে, চারটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। তবে নির্দিষ্ট ঘাট থেকে জাহাজ চলাচলের সুযোগ না থাকায় দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘আসলেই আমরা অত্যন্ত হয়রানির শিকার হচ্ছি। যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এভাবে তো পর্যটন হয় না। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন চাকরি নয় উদ্যোক্তা হোন, এখানে হাজার হাজার যুবকেরা উদ্যোক্তা হয়েছে। আজকে তারা সবাই পথে বসবে এই প্রক্রিয়া থাকলে। কোনো নিদ্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নাই। এই প্রক্রিয়াটা আগে থেকেই করা উচিত ছিল। তিনটা জাহাজের অনুমতি দিয়েও আমরা শুরুতো করতে পারছি না।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের চার মাস সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান পর্যটকেরা। এখন ভরা মৌসুমে দ্বীপে যাতায়াত করতে না পারার প্রভাব পড়েছে জেলার পর্যটন শিল্পে।

ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিল্কী বলেন, ‘পরিবেশের দোহাই দিয়ে প্রশাসন থেকে বিভিন্ন বিধি নিষেধও দিয়েছে। এই অবস্থায় আমরা যদি বিজনেস করতে না পারি তাহলে লাখ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ পানিতে যাবে। তারপাশে দ্বীপবাসী শতভাগ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। তারাও যদি ব্যবসা করতে না পারে তাহলে তাদের জীবিকার ওপরও টান পড়ছে।’

পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার পর্যটক প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করেন

পাঠকের মতামত

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে শেষ পর্যায়ে এসে ধরা পড়ছে নানা ত্রুটি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজারের রেললাইন প্রকল্পের কাজের শেষ পর্যায়ে এসে নানা ত্রুটি–বিচ্যুতি ধরা পড়ছে। দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার ...