মালয়েশিয়ার যে সুন্দরী এবারের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন, তার জন্য সে দেশের জাতীয় খাবারের ওপর ভিত্তি করে এক অভিনব পোশাক তৈরি করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তারা এ সপ্তাহে সেই গাউনটি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন।
এই পোশাকটি পরেই সামান্থা কেটি জেমস এ মাসে লাস ভেগাসে মিস ইউনিভার্স ফাইনালসের 'জাতীয় পোশাক' বিভাগে নামবেন।
এই বিচিত্র পোশাকটি তৈরি হয়েছে মালয়েশিয়ার জাতীয় খাবার 'নাসি লেমাকে'র রেসিপি অনুসরণ করে।
কিন্তু এই নাসি লেমাক পদটি আসলে ঠিক কী?
এটা হল নারকোলের দুধে জারিত ভাত - যার সঙ্গে থাকে ডিমভাজা, শশার টুকরো, ছোট ছোট অ্যানচোভি মাছভাজা, বাদাম কিংবা বড়সড় একদলা 'সাম্বল' বা বাটা মশলার মতো নানা উপাদান।
মালয় ভাষায় নাসি লেমাক কথাটার অর্থ হল 'মোটা ভাত'। সাধারণত এই পদটি কলাপাতায় মুড়ে পরিবেশন করা হয়, আর খাওয়া হয় প্রাতরাশের সময়।
কিন্তু নাসি লেমাকের পোশাক পরার সময় যে বিরাট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
বস্তুত মিস ইউনিভার্স মালয়েশিয়াকে যখন এই পোশাকটি পরিয়ে কুয়ালা লামপুরের সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির করানো হয়, তার গাউনের সঙ্গে যুক্ত কলাপাতার ডানাগুলো যাতে ভেঙে না-যায় সে জন্য অত্যন্ত সন্তর্পণে তাকে পা ফেলতে হচ্ছিল।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন এই পোশাকটি তৈরি করতে চারশো ঘন্টারও বেশি সময় লেগেছে।
তাদের মতে, এই অভিনব পোশাকটি "যেমন চোখের আরাম, তেমনি অন্য সব ইন্দ্রিয়ের জন্যও দারুণ তৃপ্তিদায়ক!"
প্রতি বছর মিস ইউনিভার্স সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার জাতীয় পোশাক বিভাগে অংশগ্রহণকারীদের নানা বিচিত্র পোশাকে আসতে দেখা যায়, সেটা ঠিকই।
কিন্তু মালয়েশিয়ার লোকজন, যারা সামান্তা কেটি জেমসকে এ সপ্তাহে ফেসবুক লাইভে দেখছিলেন, তারাও তাকে এই নাসি লেমাক পোশাকে দেখে যে হতবাক হয়ে গেছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের নানা প্রতিক্রিয়ায় দেখা গেছে সেই চরম বিস্ময়েরই প্রতিফলন।
নাসি লেমাক পোশাক ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নতুন হলেও এর আগে নাসি লেমাক পিৎজা বা নাসি লেমাক আইসক্রিমের কথা মালয়েশিয়ার লোকজন শুনেছেন, কেউ কেউ তা চেখেও দেখেছেন।
এমন কী এ বছরের গোড়ার দিকে সিঙ্গাপুরে ম্যাকডোনাল্ডস 'নাসি লেমাক বার্গার' নামে নতুন এক ধরনের বার্গারও চালু করেছে।
তবে সেই বার্গারে ভাতের বদলে কেন অল-আমেরিকার হামবার্গার বান ব্যবহার করা হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।