মেহেদী হাসান মিরাজ, সম্ভবত গত তিন-চারদিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়ায় সবচেয়ে আলোচিত নাম। আর এমনটা হবে না-ই বা কেন! ভারতের বিপক্ষে গত দুই ম্যাচে কী করেননি ডানহাতি এ অলরাউন্ডার। দলের বিপদের সময় ব্যাট হাতে খেলেছেন ম্যাচজয়ী সব ইনিংস। আবার বল হাতেও প্রয়োজনের সময় এনে দিয়েছেন উইকেট। আর ২৫ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভারতকে স্তব্ধ করে দিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরি আর মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরিতে ভারতকে ২৭২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭১ রান তোলে বাংলাদেশ। ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। ৭৭ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। নাসুম আহমেদ করেন ১১ বলে ১৮।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দশ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। মিডল ওভারে রাহুলকে নিয়ে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেও পারেননি শ্রেয়াস আয়ার। তবে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটিতে চোখ রাঙানিটা ছিল স্পষ্ট। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আবারও ম্যাচে ফেরান মিরাজ, আয়ারকে ফিরিয়ে।
পরের দুই উইকেট পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৫৬ বলে ৫৬ রান করা অক্ষর প্যাটেলকে বাউন্সারের ফাঁদে ফেলেন এবাদত। পরের উইকেটটা নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শার্দুল ঠাকুরকে স্ট্যাম্পিং করে ভারতের সপ্তম উইকেটটা তুলে নেন বাঁহাতি এ স্পিনার।
তবে শেষের দিকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন রোহিত শর্মা। আঙুলের চোটের কারণে ওপেনিংয়ে না নামা ভারতীয় অধিনায়ক বাংলাদেশের নাভিশ্বাস তুলেছেন শেষ দুই ওভারে। ঐ দুই ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৪০ রান। কিন্তু শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে ৫ রানে হারতে হয় ভারতকে।