ভারতের মণিপুর রাজ্যের লাগোয়া মিয়ানমারের ‘চিন’ দখলে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী যোদ্ধা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা রাখাইন রাজ্য দখলের পর এবার ভারতের সীমান্তঘেঁষা রাজ্য চিন দখল করল। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ব্রাদারহুডের মুখপাত্র ইয়াও ম্যাং বলেন, আমাদের যোদ্ধারা মিনদাত ও কানপেটলেট শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। চিনের ৮০ শতাংশ এখন আমাদের দখলে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে হটিয়ে থাইল্যান্ড ও চীন সীসান্তের বেশির ভাগ অংশ কয়েক মাস আগেই দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। চলতি মাসের প্রথম দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নেয়। এর কয়েক দিনের ব্যবধানে ভারতের মণিপুর সীমান্তের চিন রাজ্যেরও দখল নিল তারা।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জান্তাবিরোধী নতুন জোট ‘চিন ব্রাদারহুড’-এর শরিক ‘ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স’, সাগাইন অঞ্চলে সক্রিয় ‘ইয়াও আর্মি’ এবং ‘মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ চিন প্রদেশ দখলের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অং সান সূচিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এর আড়াই বছরের মাথায় ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) মিলে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
পরে জান্তাবিরোধী অভিযানে যোগ দেয় চিন ন্যাশনাল আর্মি (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ) এবং সু চির সমর্থক সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)। সৌজন্যে: ইনডিপেনডেন্ট টিভি
পাঠকের মতামত