উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২/০৩/২০২৩ ২:৫১ পিএম

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ ভারতের শিলং জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে খালাস পাওয়ার খবরে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১ মার্চ)বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে,ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় দেশটির একটি আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। একই আদেশে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সংবাদটি বিএনপি নেতার নির্বাচনী এলাকা ও জন্মস্থানে পৌঁছালে বুধবার সন্ধ্যায় দলীয় নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে। পরে জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সালাহউদ্দিনের জন্মস্থান পেকুয়ার রাস্তায় পথচারী ও বাজারের সওদাগরসহ সর্বস্তরের লোকজনকে মিষ্টি বিতরণ করেন।

বুধবার গভীর রাতেও কক্সবাজার শহরে মিষ্টি বিতরণ করেন জেলা ছাত্রদল ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতা কর্মীরা।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফাহিমুর রহমান জানান,দীর্ঘদিন পর কক্সবাজারপর কৃতি সন্তান সালাহউদ্দিন আহমদ আইনি কার্যক্রম শেষে মুক্তি পেয়েছেন। দেশে আসতে তার আর কোনো বাধা নেই, এমন খবর পেয়ে আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়েছি। সেই উল্লাসে কক্সবাজার শহর, পেকুয়া ও জেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে । আশা করি খুব শিগগিরই প্রিয় নেতাকে বাংলার মাটিতে দেখতে পাবো আমরা ।

ছাত্রদল নেতা সাঈদ আনোয়ার বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত ও উৎফুল্ল। অনেকদিন পর আমাদের প্রাণের নেতাকে বাংলার জমিনে দেখতে পাবো। তিনি বাংলাদেশে আগমন করলে ঝলমলে রঙিন হয়ে উঠবে বাংলার মানুষের প্রাণ। আমাদের প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন স্যারকে কক্সবাজারের মাটিতে বরণ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি৷

মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর টানা ৩ বার এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সালাহউদ্দিন আহমদ নিখোঁজ হওয়ার সময় বিএপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন এবং শিলং নির্বাসনে থাকা অবস্থায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

পাঠকের মতামত