উপমহাদেশে যুদ্ধের দামামা আবারো বাজছে। ক্রিকেট যুদ্ধের দামামা বাজলে অবশ্যই বাংলাদেশ শরিক হতো সেই যুদ্ধে। কিন্তু পুরোদস্তুর যুদ্ধে অবশ্যই বাংলাদেশ নেই। আছে কেবল ভারত ও পাকিস্তান। এরই মধ্যে তিনবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে দেশ দুটি। এখানে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার যে, দুটি দেশই পারমাণবিক ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধ লাগলে উপমাদেশের প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের জীবনে যে কী হবে তা আল্লাহই কেবল বলতে পারেন।
তাই আমরা আশা করব, যুদ্ধ করতে চাইলে তারা করুক। কিন্তু যুদ্ধ যেন সীমিত থাকে প্রচলিত অস্ত্রের মধ্যে। তবে দেশ দুটোর রাজনীতিক ও কূটনীতিকদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। কেবল ধ্বংসই ডেকে আনে। আর লভাবান হয় সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠী, যাদের হাতে কমমূল্য দেয়নি দেশ দুটো।
প্রতিবেশী দেশ হলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য সদ্ভাব কোনোকালেই ছিল না। তবে কয়েক বছর ধরে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে দুই দেশের সীমান্তে। সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর এক ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ সৈন্য নিহত হওয়ার পর ভারত অভিযোগ করে, হামলায় ব্যবহৃত সন্ত্রাসীদের অস্ত্রশস্ত্রে পাকিস্তানের ট্রেডমার্ক আছে।
এর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাগ-ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভারতীয়রা। সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইটারে লেখেন, ‘পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং দেশটিকে সেভাবে চিহ্নিত করা উচিত।’
ভারতের অনেক টেলিভিশন চ্যানেল যুদ্ধের দামামা বাজিয়েই চলেছে। পাকিস্তানে হামলা চালানোর আহ্বান জানাচ্ছে তারা প্রতিনিয়ত। দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের উপস্থাক অর্ণব গোস্বামী ফেসবুকে লেখেন, ‘তাদের একেবারে খোঁড়া বানিয়ে ফেলা দরকার।’
এদিকে পাকিস্তানও অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পাঁয়তারা করছে ভারত।
যুদ্ধের এই রকম কথাবার্তা যখন চলছে, ঠিক সেই সময় দেশ দুটোর মধ্যে শক্তির ভারসাম্য খতিয়ে দেখা হলো:
ভারত পাকিস্তান
১,৩২৫,০০০ সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৬২০,০০০
২১৪৩,০০০ রিজার্ভ সৈন্য ৫১৫,০০০
২০৮৬ বিমান (সব ধরনের) ৯২৩
৬৪৬ হেলিকপ্টার ৩০৬
১৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫২
৬৭৯ জঙ্গি বিমান ৩০৪
৬৪৬৪ ট্যাঙ্ক ২,৯২৪
৭৪১৪ আর্টিলারি ৩২৭৮
২ রণতরী ০০
১৪ সাবমেরিন ৫
১৪ ফ্রিগেট ১০
১০ ডেস্ট্রয়ার ০০
১৩৫ টহল যান ১২
৪০,০০০,০০০,০০০ ডলার বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেট ৭,০০০,০০০,০০০ ডলার
তথ্য সূত্র : গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ডটকম