ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান দুটি বিয়ের খবর সন্তান হওয়ার পর প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথম অপু বিশ্বাস পরে শবনাম বুবলীর বিষয়টিও একইভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
এরই মধ্যে শাকিব খান ও বুবলীর বিবাহবিচ্ছেদের খবরও সামনে আসে। শোনা যাচ্ছে— বুবলী-শাকিব সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে এতদিন কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি শাকিব।
বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শাকিব খান বলেছেন— জীবনের বাকি দিনগুলোতে আর কোনো ভুল মানুষের সঙ্গে মিশতে চাই না। আর কোনো ভুল করতে চাই না। ভুল করে মেশা সেই বাজে মানুষগুলোকে আর পাশে রাখতে চাই না। এখন থেকে শুধুই পজিটিভ ওয়েতে চলব। সৃষ্টিকর্তা আমাকে এমন উচ্চাসনে উপবিষ্ট করেছেন, আমার দর্শক-ভক্তরা আমাকে আকাশসমান ভালোবাসা দেওয়ার পরও কেন আমি ভুল পথে চলে আজ আমার কর্ম ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এটিই এখন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুশোচনা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কী নেই, সেটি যারা সব কিছু দেখেও না দেখার এবং বুঝেও না বোঝার ভান করে, আমি সময়মতো তা সবাইকে বুঝিয়ে দেব?’
বিষয়টি নিয়ে রহস্য তৈরি না করে সরাসরি উত্তর জানতে চাইলে শাকিব বলেন, ‘দেখুন— অনেক সত্য চাইলেই বাচ্চাটার (পুত্র শেহজাদ খান বীর) স্বার্থে প্রকাশ করতে পারি না। কারণ বীর বড় হচ্ছে, আমি চাই না ভবিষ্যতে তার মনে এ নিয়ে কোনো বাজে প্রতিক্রিয়া তৈরি হোক।’
সরাসরি কিছু না বললেও কৌশলে শাকিব খান বলে দিয়েছেন অনেক কিছু। তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছি দুটি সময়। প্রথমটা করোনাকালে যখন একাকী ছিলাম। আর দ্বিতীয়টা যখন নিঃসঙ্গভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছি।’
শাকিব জানালেন, ‘আমি সেই দিনগুলোতে একাকী থাকায় নিজের জীবনের ফেলে আসা দিন নিয়ে হিসাব করার অফুরন্ত সময় পেয়েছিলাম। তখন নিজের ফেলে আসা জীবনের হিসাব-নিকাশ করতে গিয়ে দেখলাম— না বুঝে অনেক ভুল করে ফেলেছি। বেশিরভাগ ভুল করেছি ভুল মানুষের সঙ্গে মিশে। মনে হচ্ছে, সেই ভুলেরই খেসারত দিচ্ছি এখন।
শাকিব বলেন, ‘অনেক অপ্রাপ্তির মধ্যেও আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি হলো— আমার দুই প্রাণপ্রিয় সন্তান আব্রাম খান জয় ও শেহজাদ খান বীর। আমি আমার এই দুই আদরের সন্তান ও যেসব মানুষ, যারা আসলেই আমাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে, পছন্দ করে, তাদের নিয়েই আগামীর পথে এগোতে চাই।’
শাকিব খান আরও জানান, ‘সবার মতো আমারও ব্যক্তিগত জীবন বলে একটা কিছু আছে। প্রেম, বিয়ে ও সন্তান প্রত্যেক মানুষের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এগুলো ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করার বিষয় নয়। আর আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন পাবলিকের সামনে আনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। আমার ইচ্ছা ছিল, সময়মতো সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে ঘটা করে বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে সবার সঙ্গে একসঙ্গে আনন্দ করব। কিন্তু অপু বা বুবলী কেউ-ই আমাকে সেই সুযোগ দেয়নি। আমার অপছন্দের কাজ করে সবার কাছে আমাকে হেয় করার পরও কী তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যায়?
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে বিয়ে ও সন্তান নিয়ে তাদের মনে যখন এমনই উচ্ছ্বাস ছিল, তখন তারা বিয়ে বা সন্তান জন্মের পর পরই সবাইকে বিষয়টি কেন জানাল না! আমি তো তাদের মুখ বন্ধ করে রাখিনি। প্রকাশই যদি করতে হলো, তা হলে এত দেরিতে কেন? তা হলে কী তারা আমার শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাকে অপমান আর ধ্বংস করতে চেয়েছিল? এই প্রশ্ন আমি আমার ভালোবাসার দর্শক-ভক্তদের কাছেই রাখলাম