সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
পবিত্র রমযান মাসকে পুঁজি করে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ব্যবসায়ীদের চোখ ধাধানো বাহারী পণ্য সামগ্রী ক্রয় করে ক্রেতা সাধারণ প্রতারিত হচ্ছে। এছাড়া ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানেও ভেজাল পণ্য সামগ্রী অহরহ বিক্রি হওয়ায় সুবাধে রমযানের শুরু থেকে ভেজাল পণ্য সামগ্রীতে সয়লাব হয়ে পড়েছে উখিয়া উপজেলার হাটবাজার সমুহ।
বিগত রমজান গুলোতে উখিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ভেজাল পণ্য সামগ্রী জনসম্মূখে পুড়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করলেও এ বছর প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা ছোঁখে পড়েনি বলে পড়েনি বলে স্থানীয় জনগনের অভিযোগ। এলাকার প্রবীন মুরব্বী হাজীর পাড়া গ্রামের হাজী মতিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, রমযান মাসে নিম্ন ও মধ্যবৃত্ত পরিবারের আয় কম ব্যয় বেশী। পুরো রমযান মাসে এসব পরিবার গুলোর আর্থিক দৈন দশায় ভোগছে। তার উপর অতিরিক্ত মূল্যে ভেজাল পণ্য সামগ্রী কিনতে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা, হাতা-হাতির ঘটনায় ঘটছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের উচিত ভেজাল ও অতিরিক্ত মূল্য আদায়কারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। মালভিটা পাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাবুদ ফরেষ্টার অভিযোগ করে বলেন,বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দেখা গেলেও রমজান মাসে প্রশাসনের সেই তৎপরতা নেই।
উপজেলার হাটবাজার গুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন অখ্যাত কোম্পানীর নামে বাহারী রঙের প্যাকেটে ঘি বিক্রি হচ্ছে। অথচ এসব ঘি’এর প্যাকেট বিএসটিআই এর কোন অস্থিত্ব নাই। তাছাড়াও অহরহ পাম্পঅয়েল মিশ্রিত খোলা ঘি বাজারজাত হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ী বাবুল দাশ এর সাথে আলাপ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখানকার ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশ গরীব। তাছাড়া রোহিঙ্গা ক্রেতা সাধারণ অল্প মূল্যের পণ্য কিনতে আগ্রহী। তাই নিম্নমানের কিছু মালামাল রাখা হয়েছে। বাজারের অলিতে-গলিতে পসরাসাজিয়ে বিকিকিনি করছে অসংখ্য মৌসুমী ব্যবসায়ী। শুধুমাত্র রমযান মাসকে টার্গেট করে এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল বিক্রি করে ক্রেতা সাধারণের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। রমযান মাসে যাবতীয় চাহিদা পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সেমাই, পাম্পঅয়েল, ঘি, ছোলা, সহ যাবতীয় ভেজাল কসমেটিক সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে হাটবাজার ও ষ্টেশনে ফুটপাঠ দখল করে শতশত ব্যবসায়ী ইফতারী পণ্য সামগ্রী বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে মারাতœক হুমকি। রমযানের শুরুতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী ঢেকে রাখার জন্য ও যত্রতত্র ইফতারী খাবার বিক্রি না করার নির্দেশ দিলেও তা কাজে আসেনি। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বহাল তবিয়তে অস্বাস্থ্যকর ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ব্যবসায়ী সকর্ত করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।