প্রকাশিত: ০৭/০৮/২০১৭ ৮:৪৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৩৩ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক ::
চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে রোহিঙ্গারা যাতে অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সেজন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে দ্বিতীয় দফায় নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এর আগেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে মাঠপর্যায়ে চিঠি দিয়েছিল কমিশন। এছাড়া গত ১৬ জুলাই এ বিষয়ে বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদে রোহিঙ্গারা যাতে অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সেজন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। আর এ কাজে কেউ গাফিলতি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চিঠির অনুলিপি জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসব এলাকার বিশেষ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।

ভোটার তালিকায় বিদেশি ঠেকাতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত চার জেলার ৩০টি উপজেলাকে কঠোর পর্যবেক্ষণে রেখেছে ইসি। এসব বিশেষ এলাকার মধ্যে কক্সবাজার জেলার আট, বান্দরবানের সাত, রাঙামাটির আট ও চট্টগ্রামের সাত উপজেলা রয়েছে।

উপজেলাগুলো হলো- কক্সবাজার সদর, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। রাঙামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও বাঁশখালী।

গত ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর হালনাগাদ ভোটারের খসড়া তালিকা ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে।

পাঠকের মতামত