সৌদি আরবের পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পরিষদ মসজিদের বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা এবং তার সংরক্ষণের জন্য একদল দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী নিয়োগ করেছে। যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা মুসল্লিদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সৌদি সরকার ঘোষিত ভিশন ২০৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে সেবা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। ‘ইদারাতু মারকাজিল আখবার’ আন্তর্জাতিক পরিসেবাগুলো সামনে রেখে সেবাগুলো পর্যালোচনা করা হয়।
পবিত্র দুই মসজিদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ২০৫ জন প্রকৌশলী, ৪৫০ জন টেকনিশিয়ান ও ২০০ কর্মী নিযুক্ত আছেন। যাঁরা মুসল্লিদের পৃথিবীর সর্বোত্তম পরিসেবা প্রদানে সচেষ্ট। যাঁদের অধীনে আছে আট হাজার হেডফোন, এক লাখ ২০ হাজার বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার হাজার বৈদ্যুতিক প্যানেল, ২০টি বৈদ্যুতিক জেনারেটর, ছয় হাজার ৩৫০টি পাখা, ২০২টি এসকেলেটর, ১৬টি এলিভেটর এবং এক হাজার অগ্নিনির্বাপক বক্স। তারা ১৫ শ কিউবিক মিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পানির পাম্প, পাঁচ হাজার টয়লেট ও চার হাজার কুলিং মেশিন দেখাশোনা করেন।
এ ছাড়া জমজমের পানি প্রক্রিয়াকরণ, কুলিং সিস্টেম, নিরাপত্তাবিষয়ক প্রযুক্তিগুলো, মসজিদের অডিও সিস্টেম, ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম, এক হাজার ১৬৮টি সেন্সর, ২২টি বৈদ্যুতিক লিফট ও ব্যাকআপ পাওয়ার প্ল্যান্ট ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণও এই বিশেষজ্ঞ দলের দায়িত্বে।
তাদের সেবাসংক্রান্ত আরো কিছু তথ্য হলো—
১. এসির শীতল করার ক্ষমতা ৩৫ হাজার দুই শ রেফ্রিজারেটেড টন।
২. প্রতিদিন ব্যবহৃত পানির পরিমাণ ৬৩ হাজার ঘনমিটার।
৩. প্রতিদিন খরচ হয় ৮০ মেগাভোল্ট অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ।
৪. প্রতিদিন খাবার পানি খরচ হয় ১২ শ ঘনমিটার।
৫. ব্যবহৃত লাউডস্পিকারের সংখ্যা আট হাজার।
৬. জমজমের পানি পান করার স্থান ছয় শ।
৭. ছয় হাজার ভেন্টিলেশন পাখা।
৮. ৩৫০টি স্প্রে পাখা।
হারামাইনের নিজস্ব ওয়েবসাইট অবলম্বনে