বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আটক করা হয় আমীর খসরুকে। ডিবি সূত্র আটকের তথ্য নিশ্চিত করলেও তাকে কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এক বার্তায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আটকের তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বার্তায় বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশান-২-এর ৮১ নম্বর সড়কের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছাড়াও আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির দায়িত্বে আছেন তিনি। বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক তিনিই রক্ষা করে চলেন।
ডিবিপ্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদও গণমাধ্যমকে আমীর খসরুকে আটক করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে কি না, সেটি জানাননি ডিবিপ্রধানও।
গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি ঘোষিত মহাসমাবেশের দিন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা এবং দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘাতের পর ৩০টিরও বেশি মামলা হয়েছে হত্যা, নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে। এসব মামলায় এরই মধ্যে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় বেশকিছু নেতাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত রোববার গ্রেফতার হয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হককেও সাদা পোশাক পরিহিত গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপি। পরে তাকে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
এদিন সন্ধ্যার পর পর গুলশান এলাকা থেকে দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলেও বিএনপি দাবি করেছে। তাকে আটক বা গ্রেফতারের তথ্য এখনো স্বীকার করেনি পুলিশের কোনো শাখা। এবার আটক হলেন আমীর খসরু।