নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শাওনের জানাজা ও দাফন পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় শাওনের লাশ তার বাড়িতে নেওয়া হয়।
রাত দেড়টায় নবীনগর শাহওয়ার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নবীনগর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
এর আগে সংঘর্ষের সময় বিএনপির মিছিলের অগ্রভাগে দেখা যায় শাওনকে।
তবে সন্ধ্যায় শাওনকে যুবলীগকর্মী দাবি করে তার হত্যার বিচারের দাবিতে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
এতে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আলীম শেখ, বক্তাবলী ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফকির চাঁন বেপারী, এনায়েতনগর ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান শেখ, নিহত শাওনের মামা মীর হোসেন, শহিদ মোদিসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাওনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী-নারীসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ২৬ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় দেড় ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পাঠকের মতামত